এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনার আবহেই গণবন্টন ব্যবস্থা ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তুমুল অশান্তি

করোনার আবহেই গণবন্টন ব্যবস্থা ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তুমুল অশান্তি

করোনা নিয়ে চারদিকে যখন আতঙ্কের আবহ, সেসময় রাজ্যে রেশনিং ব্যবস্থা নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছ মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্য রেশনের মাধ্যমে জনসাধারণকে দেবে বলে জানা গেছে। এর আগে কেন্দ্র সরকারও ছমাসের রেশন দেশবাসীকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

তবে এদিন রেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু হয়। পুরুলিয়াতে রেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ আসলে জনসাধারণ পুলিশকেই আক্রমণ করে। অন্যদিকে, রায়গঞ্জের শিসাগ্রামে রেশন দোকানের ডিলারের সহযোগীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানা গেছে। আবার, হুগলির খানাকুলেও বাজার বসাকে নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। এবং সেখানে ব্যাপক হারে বোমাবাজি হয় বলে জানা গেছে।

পুরুলিয়াতে আঁকরোয় গণ্ডগোলের সূত্রপাত বুধবার সকালে। রেশন নেওয়ার জন্য স্থানীয়রা রেশন দোকানে লাইন দিলে দেখা যায়, তাঁদের যা বরাদ্দ তা থেকে কিছু অংশ কেটে নিচ্ছে ডিলার। আর এই ঘটনা নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। উত্তেজিত মানুষ ডিলার ও তাঁর সহযোগীর ওপর হামলা করতে শুরু করে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় এসে উপস্থিত হয় বরো থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। অন্যদিকে, পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাওয়ায় পুলিশ সেখানে লাঠিচার্জ শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উত্তেজিত জনতা পুলিশের দিকেই ইঁট ছুঁড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পুরুলিয়ার আঁকরোর ওই রেশন ডিলারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুধুমাত্র পুরুলিয়া নয়, বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর থেকে হুগলি জেলায় একই ছবি দেখা গেছে। এদিন যেমন একদিকে রায়গঞ্জের বড়ুয়ার শিসগ্রামে রেশন সামগ্রী না পেয়ে ডিলারের সহযোগীকে বেধড়ক মারধর করে গ্রামবাসীরা, তেমন অন্যদিকে হুগলির খানাকুলে বাজার বসাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, কলকাতা শহরের রেশন দোকানগুলিতেও অবস্থা তথৈবচ।

বিভিন্ন দোকানের সামনে বিশাল লাইন সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। হুগলির খানাকুল এর ঘটনার পর হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, লকডাউন এর নিয়ম যদি কেউ না মানেন, তাহলে দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেককে শাস্তি পেতে হবে। সারা দেশ জুড়ে করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য চলছে লকডাউন। আর এর মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় নাগরিকদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার নিদর্শন পাওয়া যাচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে, এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কিন্তু বাজারে লোকজনের কেনাকাটার খামতি নেই। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বলা হচ্ছে বারবার করোনাকে দূরে রাখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য।

কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের এই নির্দেশনামা কে তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে কিছু মানুষ কেনাকাটা করেই চলেছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে কিছু রাজ্যবাসীর অবিবেচকের মতন কাজকর্ম। অন্যদিকে করোনা নিয়ে রীতিমত আতঙ্কিত দেশবাসী। যত দিন যাচ্ছে করোনার আতঙ্ক আরো চেপে বসছে। এই অবস্থায় দেশজুড়ে লকডাউন এর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার প্রাণপন চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চিকিৎসক মহল থেকে বারবার বলা হচ্ছে, সচেতনতা বজায় রাখুন। সতর্ক থাকুন। কিন্তু কিছু মানুষের সচেতনতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আপাতত দেখার আর কতটা সংক্রমণ ছড়ালে এই অসচেতন মানুষদের চেতনা ফেরে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!