চায়ের আসর থেকে আবার বোমা বর্ষণ রাজ্যের শাসকদলকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চায়ের চুমুকে মাতোয়ারা বাঙ্গালীদের কাছে টেনে নিয়ে দলের জনসংযোগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাতলেছে বিজেপি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের জনসংযোগ বেড়াতে চায়ে পে চর্চার মত জনসংযোগ মূলক কর্মসূচিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সহ একাধিক বিজেপি নেতা বারবার যোগদান করছেন এই কর্মসূচিতে। যেখান থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে যেমন অভিযুক্ত ও কটাক্ষ করা হচ্ছে, তেমনি প্রচার করা হচ্ছে দলের হয়ে। আজ সকালে চায়ে পে চর্চার আসরে যোগ দিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে আবার একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ সকালে নিউ টাউনের হাতিয়াড়ায় চায়ে পে চর্চার আসরে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে প্রবলভাবে কটাক্ষ করলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে, কলকাতা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের তল্পিবাহকদের উপাচার্যের পদে আনা হয়েছে। বিশ্বভারতীকে রাজনীতির আখড়া করে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কটাক্ষ করে জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী( দিদি) ভাবছেন যে, সকলেই বিজেপি হয়ে গেছে। এটা একটা অসুখের পর্যায়ে চলে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বোলপুর সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন যে, কিছুদিন ধরেই কুকথায়, অকথায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাই প্রতিবাদের ভাষা জোরদার করতেই বোলপুরের মাটিতে এসেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এসে শুধু বিবেকানন্দের গলায় মালা দিলেই চলবে না, জানতে হবে এখানকার সমস্ত কিছু। বিশ্বভারতীর উপাচার্য সম্পর্কে তিনি জানিয়েছিলেন যে, বিজেপির একজন মার্কামারাকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য করে বসানো হয়েছে। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এমনটা করা হয়নি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল দলের তল্পিবাহকদের উপাচার্য করা হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বভারতীকে রাজনীতির আখড়া করে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর সঙ্গে সঙ্গেই শাক সবজিসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, ৫ টাকায় আলু কিনে তা বিক্রি করা হয় ৪৫ টাকায়। আবার পেঁয়াজ ৩ টাকায় কিনে তা বিক্রি করা হচ্ছে ৮০ টাকায়। এই হলো রাজ্যের কৃষকদের অবস্থা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়েরা কাটমানি খাচ্ছেন, আর মরতে হচ্ছে কৃষকদের। এরপরই তিনি জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী ভাবছেন যে সকলেই বিজেপি হয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রীর এটা এখন সন্দেহবাতিকের পর্যায়ে চলে গেছে। তিনি কটাক্ষ করলেন, এটা এখন একটা অসুখের পর্যায়ে চলে গেছে। সরকারের ওপর ভরসা নেই, এই কারণে জনগণের উপর ছেড়ে দিতে হচ্ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করেছেন যে, পরাজয়ের ভয় থেকেই মানুষ এমন অসংলগ্ন কথা বলে থাকে। এভাবেই চায়ে পে চর্চার আসর থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আপনার মতামত জানান -