এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এবার বড়সড় ঝামেলায় পড়তে চলেছেন দুই তৃণমূল সাংসদ ও ২ সেলিব্রিটি?

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এবার বড়সড় ঝামেলায় পড়তে চলেছেন দুই তৃণমূল সাংসদ ও ২ সেলিব্রিটি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহে সতর্কতা ছিল চতুর্দিকে। বস্তুত, করোনা থেকে বাঁচতেই উৎসবের মরশুমে পুজো মণ্ডপগুলোতে কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছিল। কোর্টের নির্দেশেই সেই রায় কার্যকরী হয়। কারণ পুজোর আগে যেভাবে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছিল, তা থেকে বাঁচতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলেই জানান হয়েছিল।

কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিলেন জর, মণ্ডপ বা নো এন্ট্রি জোনে পুজো উদ্যোক্তা, পুরোহিত ও ঢাকিরা ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু তাই নয়, পুজো উদ্যোক্তাদের প্রবেশের ক্ষেত্রেও সংখ্যা নির্ধারিত করে দিয়েছিল আদালত। জানা গিয়েছিল, বড় পুজোর ক্ষেত্রে একসঙ্গে ৪৫জন এবং ছোট পুজোর ক্ষেত্রে একসঙ্গে ১৫ জনের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।

এরসঙ্গে কারা, কতদিন মণ্ডপে প্রবেশ করবেন সেই সংক্রান্ত তালিকাও সকাল আটটার মধ্যে প্রত্যেক মণ্ডপে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে। এছাড়া রাজ্যের তরফে আদালতের নির্দেশ মানা হয়েছে কিনা, লক্ষ্মীপুজোর পর সেই বিষয় সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজিকে কোর্টে দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছিল।

তবে এরপরও তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র থেকে শুরু করে নুসরত জাহান, চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীকে গতকাল অষ্টমীর সকালে মণ্ডপে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছিল। সেই সঙ্গে অঞ্জলি দিতেও দেখা গিয়েছিল। আর সেই নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

এর প্রতিবাদ করে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হাই কোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছিল, সেই নির্দেশ সকলেরই মেনে চলা উচিত। আর কেউ যদি জনপ্রতিনিধি হন, তবে তাঁর ক্ষেত্রে কিন্তু সেই নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে দায়িত্বটা আরও বেড়ে যায় বলেই মনে করছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই সঙ্গে সবটাই যে প্রশাসনের নজরে রয়েছে, সেই কথাই জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া যাঁরাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অষ্টমীর সকালে সুরুচি সংঘের পূজামণ্ডপে অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান ও তাঁর স্বামী নিখিল জৈনকে এবং চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী মিথিলা। এঁরা প্রত্যেকেই অঞ্জলি দেন। আর সেই সঙ্গে মণ্ডপে তাঁদের ঢাকের তালে নাচতেও দেখা যায়।

এছাড়াও মণ্ডপে প্রবেশ করে সাংসদ মহুয়া মৈত্রও অঞ্জলী দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। এসব কিছুর পর সব্যসাচী বাবুর কথায়, নুসরত জাহান বা মহুয়া মৈত্র – যে কেউ অঞ্জলি দিতেই পারেন, কিন্তু এক্ষেত্রে তাঁকে পুজো উদ্যোক্তা বা সদস্য হতে হবে। কিন্তু যেহেতু নুসরত জাহান ওই এলাকার বাসিন্দা নন, তাই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে, প্রত্যেককেই আইনি নোটিস পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।

সেইসঙ্গে মহুয়া মৈত্রর কাছ থেকে এটা কাম্য নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি। যদিও নুসরাতের তরফে তাঁর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন যে নুসরত কিন্তু তিন বছর আগে থেকেই সুরুচি সংঘের সদস্য। সেক্ষেত্রে তিনি সেখানে অঞ্জলি দিতে যাবেন সেটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘিত হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।

নুসরতের মতোই চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও সুরুচি সংঘের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। তবে সমস্যা হয়েছে অন্য জায়গায়। প্রশ্ন উঠেছে, নুসরতের স্বামী নিখিল জৈন ও সৃজিতের স্ত্রী মিথিলাকে নিয়ে। বস্তুত, মিথিলা বাংলাদেশের নাগরিক, আর নিখিল জৈন সুরুচি সংঘের সদস্য কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন কেউ।

এক্ষেত্রে সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আরও বলেছেন যে, আদালতের নির্দেশ কার্যকরী করতে কলকাতা পুলিশ যথেষ্ট উদ্যোগ নিলেও রাজ্য পুলিশের তরফে তিনি সেভাবে ব্যবস্থা নিতে তিনি দেখেননি। এক্ষেত্রে নাকি একাধিক অভিযোগও জমা পড়ছে। তাঁর কথায়, আদালত পুলিশকে তার নির্দেশ কার্যকরী করতে বলেছিল। তার অন্যথা হলে পুলিশকে বিষয়টা জানাবেন তিনি। তবে কৃষ্ণনগরে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর তরফে এ ব্যাপারে কোনও বক্তব্য জানা যায়নি বলেই তথ্য সূত্রে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!