এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্যে কাজ না থাকায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ফুঁসছেন! সব দায় সিপিএম-বিজেপির ঘাড়ে চাপাচ্ছেন মন্ত্রী

রাজ্যে কাজ না থাকায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ফুঁসছেন! সব দায় সিপিএম-বিজেপির ঘাড়ে চাপাচ্ছেন মন্ত্রী


করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা ব্যাপক সমস্যায় পড়েছিলেন। তবে সম্প্রতি সেই লকডাউন শিথিল হয়ে যাওয়ায় সেই সমস্ত শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরতে শুরু করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের নুন আনতে পানতা ফুরোনর যোগার। সঠিক কাজের দিশা না থাকায় তাদের সংসার ঠিকমত চলছে না। আর এমত পরিস্থিতিতে জেলার নেতা-মন্ত্রীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে শুরু করেছেন সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা।

আর পরিযায়ী শ্রমিকরা যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীদের কটাক্ষ করছেন তাদের কাজের দিশা না থাকার জন্য, ঠিক তখনই বিরোধীদের ঘাড়েই এই ব্যাপারে সমস্ত দোষ চাপাতে দেখা গেল রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। যা নিয়ে এখন রীতিমতো তাজ্জব বিভিন্ন মহল। শাসক দলে থাকার সত্ত্বেও কেন পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ না থাকার বিষয়ে বিরোধীদের ঘাড়ে দোষ চাপালেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে নানা মহলে।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “34 বছরে বামফ্রন্ট রাজ্যকে শ্মশান বানিয়ে দিয়েছিল। জেলায় ওরা একটাও শিল্প করতে পারেনি। রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষ বাইরের রাজ্যে কাজে যান। তাছাড়া লোকসভা ভোটের পর জেলায় বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির সন্ত্রাসের ফলে এলাকায় কাজ করতে না পেরে প্রচুর মানুষ বাইরে কাজ করতে গিয়েছিলেন। আমাদের সরকার পরিযায়ী শ্রমীদের 100 দিনের কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের পাশে আছে।” আর রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই বক্তব্য নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

তাদের দাবি, সরকারে রয়েছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিরোধীদের ঘাড়ে দোষারোপ করে তৃণমূল কি পার পেয়ে যাবে? তাদের কি উচিত নয়, বাংলায় কর্মসংস্থানের নতুন দিশা খুঁজে সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখে অন্নের জোগান দেওয়া? এক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিরোধীদের উপর দোষারোপ করে তৃণমূল কি তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছে?

content_block id=39107]

 

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রায় বলেন, “বাম জমানায় জেলায় কোনো শিল্প আসেনি। তৃণমূলের সময়েও শিল্প এল না। যেখানে একটি রাস্তার কাজ ঠিক করে হয় না, সেখানে শিল্পের কথা না ভাবাই ভাল। রাজ্যে বিজেপি সরকার এলে রাজ্যের পাশাপাশি কোচবিহারেও শিল্প হবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে সিপিএমের পক্ষ থেকে তৃণমূল এবং বিজেপির দুই দলকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য তারাপদ বর্মণ বলেন, “এখানে শিল্প স্থাপনের জন্য আমরাই চকচকায় শিল্প বিকাশ কেন্দ্র গড়েছি। তৃণমূল, বিজেপির মুখে এই সমস্ত কথা মানায় না।” তবে পরিযায়ী শ্রমিকরা যখন সংকটে ভুগছেন, যখন তাদের কাছে কোনো কাজ নেই, তখন যেভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একে অপরের ঘাড়ে এই ব্যাপারে দোষারোপ করতে শুরু করেছেন, তাতে সেই শ্রমিকদের এখন সংকটাপন্ন অবস্থা।

তারা চাইছেন, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা তাদের কাজ দিক। কিন্তু যেভাবে সেই কাজ দেওয়া নিয়ে নেতা-নেত্রীরা নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছেন, তাতে সেই সমস্ত শ্রমিকরা কোথায় যাবেন, কিভাবে দিন গুজরান করবেন! এখন এই প্রশ্নই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!