এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ফের তিন হেভিওয়েট শীর্ষ নেতাকে গুরুতর নির্দেশ! কড়া হুঁশিয়ারি তৃণমূলের! শোরগোল দলের অন্দরে!

ফের তিন হেভিওয়েট শীর্ষ নেতাকে গুরুতর নির্দেশ! কড়া হুঁশিয়ারি তৃণমূলের! শোরগোল দলের অন্দরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের অন্দরে যেন ডামাডোল বাজতে শুরু করেছে। অর্পিতা ঘোষ সভাপতি থাকার সময় যারা দাপটের সঙ্গে হরিরামপুর থেকে কুশমন্ডি, বালুরঘাট থেকে বুনিয়াদপুর ঘুরে বেড়াতেন, গৌতম দাস সভাপতি হওয়ার পর সেই তারাই শাস্তির মুখে পড়লেন। সূত্রের খবর, পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে শোকজ করা হলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিন তৃণমূল নেতা শুভাশিস পাল, দেবাশিস মজুমদার এবং সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাসকে। স্বভাবতই এই গোটা ঘটনায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

জানা গেছে, শুভাশিস পাল ওরফে সোনা এতদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি জেলা পরিষদের মেন্টরের দায়িত্বও সামলেছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি তার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যাকে নিয়ে তীব্র বিতর্ক ছড়ায়। যার পরেই তার ডানা ছাটা হয়। আর এবার তাকে সরাসরি শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে বালুরঘাটের দেবাশিস মজুমদার অর্পিতা ঘোষ সভাপতি থাকার সময় জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি সিডাব্লিউসি চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।

এদিন তাকেও তৃণমূল শোকজ করে। একইভাবে শোকজ করা হয় সাংসদ থাকার সময় অর্পিতা ঘোষের পিএ বলে পরিচিত কুসুমন্ডি সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাসকে। সোমবার গঙ্গারামপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে এই তিন তৃণমূল নেতাকে শোকজ করার কথা জানিয়ে তাদের সঙ্গে আপাতত দলের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস। আর অর্পিতা ঘোষ দায়িত্ব থেকে চলে যাওয়ার পর গৌতমবাবু এবং শঙ্করবাবু দায়িত্ব নেওয়ার পর যেভাবে এই তিন তৃণমূল নেতাকে শোকজ করা হল, তাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ার আশঙ্কা করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে আবার বলছেন, এর ফলে দুর্নীতিকে অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে। কারণ এই তৃণমূল নেতা অর্পিতা ঘোষ সভাপতি থাকার সময় মানুষের সঙ্গে ঠিকমতো ব্যবহার করেননি। যার ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই এবার এই তিন নেতাকে বহিষ্কার করে দল স্বচ্ছতার বার্তা দিল বলেই দাবি একাংশের। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “এই তিন নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। তাদের জবাবে সন্তুষ্ট না হলে সাত দিন পর তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তিন নেতা বিভিন্ন সময় দলের বিভিন্ন পদে ছিলেন। এমনকি তারা সরকারী পদেও রয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা যে দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছে, সেই অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তাই তাদের শোকজ করা হয়েছে।”

কিন্তু এই ব্যাপারে কি বলছেন সোনা পাল, দেবাশিস মজুমদার এবং সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাসরা? এদিন এই প্রসঙ্গে হরিরামপুরের সোনা পাল বলেন, “তিরস্কার বহিষ্কার এবং পুরস্কার সোনা পালের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে। আগে চিঠি আসুক, তার পরে জবাব দেব। আমরা তৃণমূলের সৈনিক ছিলাম, আছি এবং থাকব।” এদিকে এই ব্যাপারে সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাস বলেন, “আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই। দল যদি শোকজ করে জবাব দেব।” তবে এখনও পর্যন্ত তিনি চিঠি পাননি। তাই চিঠি পেলে অবশ্যই এর জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন বালুরঘাটের দেবাশিস মজুমদার।

একাংশ বলছেন, তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যতদিন না দল এই ব্যাপারে কিছু জানাচ্ছে, ততদিন এই তিন তৃণমূল নেতা দলের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত থাকতে পারবেন না। ফলে দেবাশিস মজুমদার, শুভাশিস পাল এবং সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাসের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার তৃণমূল কংগ্রেসে যে অনেকটাই ধাক্কা খেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন তারা রাজনৈতিকভাবে নিজেদেরকে চাঙ্গা করতে বিরোধী শিবিরে নাম লেখান, নাকি তৃণমূলেই থেকে যান, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!