বিধানসভার আগে কল্পতরু মমতা! পুজোকমিটিগুলোর অনুদান এক ধাক্কায় নজিরবিহীনভাবে করলেন দ্বিগুন! কলকাতা তৃণমূল রাজ্য September 25, 2020 এ বছরে দুর্গাপূজার আমেজ আসি আসি করেও আসছে না। কারণ কোথাও একটা তাল কেটে গেছে। বছরের শুরু থেকেই শুরু হয়েছিল করোনার তাণ্ডব, যা এখনো বজায় রয়েছে। মানুষের আতঙ্ক এখনো কাটেনি। নেই কোন বিকিকিনি, নেই কোন বাজার। এই অবস্থায় পুজো নিয়ে দুশ্চিন্তায় বঙ্গবাসী। পাল্টা প্রশাসনও এই অবস্থা থেকে বের হবার জন্য একের পর এক উপায় খুঁজে চলেছে। দুর্গাপূজা নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও মহামারী আবহে কিন্তু রাজ্যে দুর্গাপুজো হবে বলেই শোনা যাচ্ছে। আর সেই উদ্দেশ্যে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটি গুলির সঙ্গে আজকে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতিমাড়ির মধ্যে পুজো করতে গিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই পুজো কমিটিগুলি পড়েছে আর্থিক অনটনে। আর সেই অনটন মেটাতে এবার রাজ্য সরকার অনুদানের ভাঁড়ার খুলে দিল। জানা যাচ্ছে, পূজা কমিটিগুলিকে এবার বড় অঙ্কের আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে পুজো কমিটিগুলিকে একাধিক কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত পুজো কমিটিকে এবার 50000 হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। একই সাথে রেজিস্টার্ড পুজো কমিটিগুলিকে পুরো কর এবং দমকল ফী মকুব করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুতের ক্ষেত্রে 50 শতাংশ ছাড় মঞ্জুর হয়েছে বলে জানা গেছে। সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ দুই ক্ষেত্রেই এই ছাড় দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। করোনা আবহে আর্থিক অনটনের মুখে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাতে পুজো কমিটিগুলি দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন পুজো কমিটি গুলিকে সাহায্য করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা আবহে আর্থিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে সর্বত্র। পুজো কমিটিগুলি বিজ্ঞাপন পাচ্ছেনা, স্পন্সর পাচ্ছেনা। তাই রাজ্য সরকার সাধ্যমত তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, রাজ্যের হাতেও এই মুহূর্তে টাকা নেই। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আড়াই হাজার কোটি টাকা ইতিমধ্যে খরচ হয়ে গেছে। তাই যৎসামান্য দিয়েই রাজ্য সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্যবাসীর মুখে হাসি ফোটাবার। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান দেওয়া নিয়ে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা সর্বত্র। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, একুশের বিধানসভার আগে এগুলি শাসক নেত্রীর চমক। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর কোষাগারে যখন টাকা নেই উনি বলছেন, তখন কিভাবে বাংলার পুজো কমিটিগুলিকে বড়োসড়ো অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তিনি! তবে বিতর্ক যাই থাক, করোনা আবহে দুর্গাপুজো হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি কিছুটা হালকা হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে অবসাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। এবার হয়তো বাংলার সেরা উৎসবের হাত ধরে সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে। আপনার মতামত জানান -