এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হয়ে প্রশাসনিক বৈঠকেও সরব সব্যসাচী, জল্পনা তুঙ্গে

মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হয়ে প্রশাসনিক বৈঠকেও সরব সব্যসাচী, জল্পনা তুঙ্গে


কিছুদিন আগেই বিধাননগর পৌরসভার মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। যত দিন যাচ্ছে, ততই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল সেই সব্যসাচী দত্তের। মাঝেমধ্যেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের তার বাড়িতে আসার ঘটনা তৃণমূলকে চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে। আর এমত একটা পরিস্থিতিতে যখন সেই সব্যসাচী দত্তের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছিল, ঠিক তখনই খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে সেই সব্যসাচীবাবুর উপস্থিতি নানা প্রশ্ন তুলে দিতে শুরু করল।

বস্তুত, শুক্রবার মধ্যমগ্রামে উত্তর 24 পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে মিনি মহাকরন নিয়ে উপস্থিত ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধাননগর পৌরসভার সদ্য প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না বলেই মনে করেছিলেন সকলে।

কিন্তু ভাবনার সঙ্গে সব সময় বাস্তবের মিল খায় না। অবশেষে মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে সেই প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল তৃনমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকে। যেখানে উপস্থিত থেকে সমস্যার কথা তুলে ধরে নিজের দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কিছুটা বিবাদের রাস্তায় যেতেই দেখা গেল সব্যসাচী বাবুকে। সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকের মধ্যভাগে সব্যসাচী দত্তকে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “সব্যসাচী বল!”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই উঠে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্যার কথা বলতে গিয়ে এই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “রাজারহাট নিউটাউন এলাকায় জমি ভরাটের সমস্যা হচ্ছে। জেলাশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো লাভ হয়নি।” আর সব্যসাচী দত্তের মুখ থেকে এই কথা শুনে তাকে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জলাজমি, পুকুর যাতে বেআইনিভাবে ভরাট না হয়, তার জন্য সকলকে নজর রাখতে হবে।”

পাশাপাশি সব্যসাচী দত্তের ওপর যে তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট নন, তাও এদিনের এই প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকে বুঝিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বিধাননগর পৌরসভার প্রাক্তন মেয়রের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শোন সব্যসাচী, তোরাই এতদিন মিউনিসিপ্যালিটিতে ছিলিস! তোরা এগুলো ঠিকমত দেখিসও না।” আর মুখ্যমন্ত্রীর এই কথাতেই স্পষ্ট যে তিনি সব্যসাচী দত্তর সমস্যার কথা শুনলেও তাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মেয়র পদে সব্যসাচী দত্তর ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সামনাসামনি কথোপকথন।যা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করেছিল ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়ত আর দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা না করে বিজেপিতে যোগদান করবেন সব্যসাচী। কিন্তু তা না করে প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত হয় যেমন মাস্টারস্ট্রোক দিলেন তিনি, ঠিক তেমনই ফের আরও একবার প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন, পদ না থাকলেও তিনি তৃণমূলেই থাকবেন।

তবে সব্যসাচী দত্তের মনে কি আছে তা সময়ই বলবে। কিন্তু এদিন বিধাননগর পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত তাঁর সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে তুলে ধরলেও মুখ্যমন্ত্রী যে তাকে খুব একটা গুরুত্ব দিলেন না, তাও স্পষ্ট হয়ে গেল। সব মিলিয়ে নানা প্রশ্ন উস্কে দিয়ে গেল মধ্যমগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!