সিপিএমকে বিদায় দিয়েছি, বিজেপিকেও বিদায় করব- এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা- শপথ-অঙ্গীকার: মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য December 4, 2018 সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কেশিয়াড়িতে কিছুটা ভালো ফল করেছে বিজেপি। আর এবারে সেই কেশিয়াড়িতেই দলের ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধারে ফের পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, গতকাল কেশিয়াড়ির তেলিপুষ্করিণীর মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, সৌমেন মহাপাত্র, সাংসদ মানস ভুইয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকেরা। এদিনের এই সভা থেকেই বিজেপিকে ফের কড়া ভাষায় কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “আমরা সিপিএমকে বিদায় দিয়েছি, এবার বিজেপিকেও বিদায় দেব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, শপথ আর অঙ্গীকার।” অন্যদিকে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি দখল করায় এ দিন সেই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাদের এখানে নিয়ে এলেন তারা কতটা ভয়ানক আপনারা জানেন না। আপনাদের সমস্ত ভিটেমাটি বিক্রি করে দেবে। আমি জানি, আমাদের কোন কোন নেতা এখানে নিশ্চয়ই দুষ্টুমি করেছেন। তাদের কিন্তু আমরা সরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু যাদের এনেছেন তারা কোনো কাজ করবে না।” বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজনীতির মধ্যে দিয়ে আমাদের রাবণ বধ করতে হবে। দলিতদের হনুমান বলছে, সাধারণ মানুষকে অসম্মান করছে, এরা জানে না মানুষকে অসম্মান করলে মানুষই তার যোগ্য জবাব দেয়।” এদিনের মঞ্চ থেকে আগামী দিনের লড়াইয়ে’র জন্য সকলকে এখন প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে এদিন বাইরে রাজ্য থেকে এসে বাংলায় যারা গন্ডগোল লাগাচ্ছে ও প্ররোচনা দিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যেও সতর্কবার্তা জারি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমায় যদি কেউ আঘাত করে, আমি কিন্তু প্রত্যাঘাত করব। মাথায় রাখবেন, বাইরের উগ্রপন্থী লোক ঝারখন্ড থেকে এসে সকলকে ভুল বোঝাচ্ছে। এদের কথা শুনবেন না। আমাদেরও যদি কেউ অন্যায় করে তাহলে বলবেন, আমরা তাদের শাস্তি দেব।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে উন্নয়নে যাতে কোনরূপ খামতি না থাকে সেই ব্যাপারে জেলা শাসক পি মোহন গান্ধিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জেলার উন্নয়নে এবং শান্তি রক্ষায় শুভেন্দু অধিকারীকেও বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে এবার কেশিয়াড়ি প্রশাসনিক জনসভা থেকেও বিজেপিকে সরানোর শপথের সুর শোনা গেল বাংলার অগ্নিকন্যার গলায়। আপনার মতামত জানান -