এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো উদ্বোধন করে জল্পনা বাড়ালেন ‘কমরেড’ বিধায়ক

তৃণমূল মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো উদ্বোধন করে জল্পনা বাড়ালেন ‘কমরেড’ বিধায়ক

বাংলার প্রধান উৎসব দুর্গাপূজো একেবারে দোরগোড়ায় হাজির। শুরু হয়ে গেছে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে নেতা-মন্ত্রীদের দিয়ে প্রতিমা ও প্যান্ডেল উদ্বোধন। মহালয়ার আগের দিন থেকেই শুরু হয়েছে এই উদ্বোধনী পর্ব। এখন চলবে প্রতিদিন। আর এদিকে এবার দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করেই পশ্চিমবাংলার 2 বিরোধী দল সিপিএম ও তৃণমূল আবার কাছাকাছি এলো। পুজো উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে এদিন তৃণমূল ও সিপিএমের জনপ্রতিনিধিদের একই মঞ্চে দেখা গেল।

জল্পনা বাড়িয়ে একযোগে দুর্গাপূজার উদ্বোধন করলেন তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম ও সিপিএমের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য্য। সিপিএমের রুল বুকে ধর্ম আচরণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা আছে। তবে সামাজিক উৎসবে যোগদান করা আবশ্যক বলা আছে। তবে ধর্মীয় আচরণের নির্দেশ অমান্য করেও দিব্যি সিপিএম পার্টিতে টিকে থাকা যায় – তা আবার প্রমান হয়ে গেল! এবার সিপিএমের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে দেখা গেল দূর্গা মূর্তির সামনে গিয়ে প্রদীপ ধরাতে।

যা নিয়ে এলাকার সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক দেখা গেছে। এর আগে ধর্ম আচরণ করা নিয়ে প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তী, রেজ্জাক মোল্লাকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করা হয়েছিল। সিপিএমের পক্ষ থেকে ইদানিং বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়ের পূজা অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে এখন কেউ এই ব্যাপারটাকে মাথায় নিচ্ছে না। টিকে থাকতে গিয়ে তাহলে এবার পার্টির রুলবুককে শিকেয় তুলে রাখা হবে? প্রশ্ন ঘুরছে বাম কর্মীদের মধ্যেই!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রবিবার বরানগরের নপাড়া দাদাভাই সংঘের পূজামণ্ডপে একই সাথে উপস্থিত থাকতে থাকতে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সিপিএমের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে। সাথে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের আরেক মন্ত্রী তাপস রায় ও সাংসদ সৌগত রায়। এই ঘটনায় তন্ময়বাবু জানিয়েছেন, তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন। ইদানীংকালে সিপিএমের রুলবুকে থাকলেও ধর্মাচরণ নিয়ে পার্টি এক প্রকার ছাড় দিয়ে দেয়। আর সেই ফাঁক গলেই কি পুজো উদ্বোধনে পৌঁছে গেলেন তন্ময় ভট্টাচার্য? প্রশ্ন উঠছে।

তন্ময় বাবু এই অবস্থায় পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজতে যাওয়া অর্থহীন।’ তিনি আরো বলেন, ‘পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা অঞ্জন পাল আমার ছোটবেলার বন্ধু। তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাই এসেছি।’ অন্যদিকে তৃণমূল নেতাদের সাথে একই মঞ্চে আসীন হওয়ার কথায় তিনি বলেন, ‘আগের বছর প্রণব মুখোপাধ্যায় এসেছিলেন। আমি এসেছিলাম। এবার ফিরহাদ হাকিম উদ্বোধন করেছেন। আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে এসেছিলাম।’ যদিও এই ঘটনায় সরকারিভাবে সিপিএম এখনো পর্যন্ত কোনো বক্তব্য পেশ করেনি।

তবে সূত্রের খবর, পূজো মিটে যাওয়ার পর এই প্রসঙ্গে পার্টিতে আলোচনা হবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমানে তৃণমূল, বিজেপির মাঝখানে সিপিএম কোন গুরুত্বই পায়না রাজ্য রাজনীতিতে। সেখানে তৃণমূলের সাথে এক মঞ্চে দাঁড়ানোয় সিপিএম যে খবরের শিরোনামে আসবে তা জানা কথাই। সেই সুযোগকে হাতছাড়া করতে চাননি কমরেড তন্ময় ভট্টাচার্য। তবে এই ঘটনাকে সিপিএমের অনেক নেতাই পার্টি লাইন অবমাননার ছবি হিসেবেই দেখছেন। তবে পুজোর পরে বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা সেদিকে নজর রাখবে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!