এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপিতে এসেই বিধানসভায় প্রার্থী হচ্ছেন ‘বিতর্কিত’ এই যুব নেতা! তুমুল ‘গোঁসা’ সঙ্ঘের

বিজেপিতে এসেই বিধানসভায় প্রার্থী হচ্ছেন ‘বিতর্কিত’ এই যুব নেতা! তুমুল ‘গোঁসা’ সঙ্ঘের


দেশের সব রাজ্যে এবার পরপর বিধানসভা নির্বাচন শুরু হতে চলেছে। সাথে উপনির্বাচনও আছে। যা নিয়ে বিজেপির শিবিরের ব্যস্ততা তুঙ্গে। গোটা দেশের 51 টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে 21 অক্টোবর। নিয়মমত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু এবার প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। একের পর এক নবাগত প্রার্থীরাই ভোটযুদ্ধে আসীন হচ্ছে দেখে বিজেপির অন্দরে জল্পনা তুঙ্গে।

রীতিমতন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হচ্ছে দলের অন্দরে। অন্যদিকে প্রার্থী তালিকা নিয়ে আরএসএসও তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এই ক্ষোভের কারণ, গুজরাটে নবাগত বিজেপি সদস্য অল্পেশ ঠাকুর। তিনি খুব অল্প দিন হয়েছে কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটে তাঁকে বিজেপির বিরোধিতা করতে দেখা গেছে। মাঝে মাত্র 21 মাস সময় গেছে।

আর তার মধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন গুজরাটের ক্ষত্রিয় ঠাকুর সেনার নেতা আল্পেশ ঠাকুর। আর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই উপনির্বাচনে রাধনপুর কেন্দ্রে বিজেপি অল্পেশ ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে। এ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে আরএসএসের নেতারা। অন্যদিকে বিজেপির অন্দরেও এই ঘটনায় ক্ষোভ জমেছে। দলের পুরোনো নেতাকর্মীরা তাদের যোগ্য সম্মান পাচ্ছে না বলে স্থানীয় স্তরে ক্ষোভ জমা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে, অনেকেই গোঁজ প্রার্থী দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। সমস্ত হুমকিকে অবশ্য নস্যাৎ করে দলের শীর্ষ নেতারা তাদের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিচ্ছেন। শুধুমাত্র গুজরাট নয়, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানাতেও বিরোধী দল ছেড়ে আসা নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁদের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থী করা হচ্ছে। অনেক বিজেপি নেতাই এই ঘটনায় ক্ষোভ জাহির করে জানিয়েছেন, ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে পুরনো নেতারা যদি বঞ্চিত হন তাহলে বিজেপির এই সিদ্ধান্তের জন্য তাঁদের পস্তাতে হবে।

এদিন এক আরএসএস নেতা বিজেপির বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ নিজেদের পছন্দমত দল চালাচ্ছেন। অন্য দলের সঙ্গে বিজেপির মূল পার্থক্য হয়তো ওঁরা রাখছেন না। সংঘের নীতি, আদর্শে বিশ্বাসী নন এমন অনেককেই দেদার টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এমনটা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে কংগ্রেসের মতোই বেহাল দশা হবে বিজেপির।’ প্রসঙ্গত, সারা দেশের 51 টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে একুশে অক্টোবর।

আর শনিবার এই উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। অল্পেশ ছাড়াও সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কংগ্রেসের ধবল সিং, নরেন্দ্র সিং বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বিজেপি শিবির নবাগত সদস্যদের নির্বাচনে প্রার্থী করে বিপুল জনসমর্থন আশা করছেন। আর আশা মত জনসমর্থন যদি থাকে, তাহলে বিধানসভাগুলি দখল করা বিজেপির কাছে সময়ের খেলা।

আপাতত বিরোধী বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বিজেপি শিবির থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে বিজেপির এই সিদ্ধান্তের দিকে সাগ্রহে নজর রাখবে সমগ্র রাজনৈতিক মহল। কিন্তু, অন্যদল থেকে এলেই যে বিজেপিতে ব্রাত্য করে রাখা হবে না, যোগ্যতা থাকলে দলে নবাগতরা যে যোগ্য সম্মান পাবেন – তা ক্রমশ স্পষ্ট করে দিচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব। আর তারফলে দীর্ঘদিন ধরে দল করা বহু বিজেপি নেতারই ‘গোঁসা’ ক্রমশ বাড়ছে। সেই ‘গোঁসা’ কিভাবে এখন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ত্ব সামাল দেন – সেদিকেই নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!