এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সিপিএমের শক্ত ঘাঁটিতে দলবদল, বাম ও বিজেপি কর্মীদের যোগ তৃণমূলে!

সিপিএমের শক্ত ঘাঁটিতে দলবদল, বাম ও বিজেপি কর্মীদের যোগ তৃণমূলে!

করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের জেরে পৌরসভা নির্বাচন কিছুটা হলেও পিছিয়ে যেতে পারে। তবে সাময়িকভাবে তা পিছিয়ে গেলেও, পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে যে রাজনৈতিক উত্তাপ এবং পারদ অব্যাহত থাকবে, তা নিয়ে সংশয় নেই। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি পৌরসভা বামেদের থেকে নিজেদের দখলে নিতে নানা ব্লুপ্রিন্ট সাজাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমতাবস্তায় এবার শিলিগুড়ির লালদুর্গ বলে পরিচিত হিমালি শহীদনগরে সিপিএম এবং বিজেপির প্রচুর নেতাকর্মীদের নিজেদের দলে যোগদান করাল তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, এদিন জেলা তৃণমূলের কার্যালয় এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার, শিলিগুড়ি 2 টাউন তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জয় পাঠক, তিন নম্বর টাউন তৃণমূলের সভাপতি দুলাল দত্ত সহ অন্যান্যরা। আর এই গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বামেদের বিভিন্ন ছাত্র-যুব এবং মহিলা সংগঠন থেকে প্রচুর নেতাকর্মী তৃণমূলে নাম লেখান। একইভাবে বিজেপির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বকেও এদিন তৃনমূলে পা রাখতে দেখা যায়।

কিন্তু ভোটের মুখে কেন এভাবে তারা দলত্যাগ করলেন! কেন তৃণমূলের প্রবল বিরোধী বলে পরিচিত বাম এবং বিজেপির নেতা কর্মীরা হঠাৎ তৃণমূলের প্রতি ভরসা রাখলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে ডিওয়াইএফআই ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রকাশ চন্দ্র বলেন, “হিমালি শহিদনগর লাল দুর্গ হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন বাপ, ঠাকুরদার পরিচিত এই পার্টি করলেও, এলাকার উন্নয়ন হয়নি। তাছাড়া কংগ্রেসের সঙ্গে জোট মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। তাই উন্নয়নের স্বার্থে, ঘোটের রাজনীতির বদল ঘাটাতে প্রায় 100 জনকে নিয়ে তৃণমূলে শামিল হয়েছি।” অন্যদিকে বিজেপি ত্যাগী নেতাকর্মীদের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই তারা বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। আর শিলিগুড়ির মত বামেদের শক্ত ঘাঁটিতে যখন তৃণমূল পৌরসভা দখলের স্বপ্ন দেখছে, তখন এই বিশাল যোগদান তৃণমূলকে কতটা উৎসাহিত করল? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “যারা দলে এসেছেন তাদের সকলকে স্বাগত জানাই। এখন দলের শক্তি আরও বৃদ্ধি হল। কংগ্রেসের চলে যাওয়া দলের প্রাক্তন কাউন্সিলার প্রকাশকেও দলে ফেরানো হল।”

একইভাবে এই ব্যাপারে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, “শহরের উন্নয়নের স্বার্থে এবং বিভাজনের রাজনীতির প্রতিবাদে এদিন সিপিএম, বিজেপি থেকে প্রায় 250 জন তৃণমূলে সামিল হয়েছেন। সকালে জেলা কার্যালয়ে যোগদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিঃসন্দেহে পৌরসভা নির্বাচনের আগে এই দলবদল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বামেদের শক্ত ঘাঁটি শিলিগুড়িতে প্রচুর বাম নেতাকর্মী এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের তৃণমূলে নাম লেখানো পৌরসভার আগে তৃণমূলকে ব্যাপক উৎসাহিত করবে’ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!