এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > জয় শ্রীরামের স্লোগানেই কি আগামী বিধানসভার ফয়সালা? নতুন করে মাথা চারা দিয়ে উঠল তীব্র বিতর্ক

জয় শ্রীরামের স্লোগানেই কি আগামী বিধানসভার ফয়সালা? নতুন করে মাথা চারা দিয়ে উঠল তীব্র বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে। কেন্দ্রীয় সরকারের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দেখা যায় এক বিরল দৃশ্য। পাশাপাশি অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। কিন্তু গতকাল যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্যদানে মঞ্চের দিকে এগোতে থাকেন, তখনই অকস্মাৎ এক অনভিপ্রেত ঘটনার সৃষ্টি হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বক্তব্য রাখার জন্য সঞ্চালক অনুরোধ করতেই বেশকিছু দর্শক জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেন। এই ধ্বনিতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। কোন বক্তব্য না রেখেই ফিরে যান তিনি।

গতকাল দর্শক আসন থেকে যে জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে, তার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, সরকারি অনুষ্ঠানে ডিগনিটি থাকা উচিত ছিল। এটি কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ করার কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ আছেন। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে, তারপর তাঁকে অপমান করা উচিত নয়। তার প্রতিবাদ জানিয়েই তিনি কিছু বক্তব্য রাখবেন না। কাল অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে যে সৌহার্দের ছবি ধরা পড়েছিল, অকস্মাৎ তার একটা বড়সড় ছন্দপতন ঘটে। অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান মঞ্চে জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠার কারণে, তা নিয়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। গতকালের এই ঘটনা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন একাধিক রাজনীতিবিদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ ঘটনা প্রসঙ্গে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ মহাম্মদ সেলিম জানান যে, সরকারি খরচে জনসংযোগ করছে বিজেপি। সরকারের কর্মসূচিকে দলীয় কর্মসূচিতে রূপান্তর করা উচিত নয়। রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য জানালেন যে, এই ধরনের সরকারি অনুষ্ঠানে ধর্মীয় স্লোগান দেওয়া উচিত নয়। এটা অনুষ্ঠানের নীতিকে লংঘন করা।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানালেন যে, সরকারি অনুষ্ঠানে অপমান করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক লড়াই রয়েছে। তবে এই ঘটনার তিনি তীব্র নিন্দা করছেন। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান যে, এই ঘটনায় তাঁরা অত্যন্ত লজ্জিত। প্রধানমন্ত্রীরই নিষেধ করা উচিত এই ধরনের স্লোগানকে। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়নের মতে, শালীনতার মত বিষয়গুলি লুম্পেনদের কখনোই শেখানো যায় না। তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান জানালেন যে, সরকারি অনুষ্ঠানে এভাবে ধর্মীয় স্লোগান দেওয়ার তিনি তীব্র বিরোধিতা করছেন।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, কেউ যদি কিছু বলেন, তবে তাতে রেগে যাওয়ার কি আছে? মুখ্যমন্ত্রীর ধৈর্য রাখা প্রয়োজন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি রাজনৈতিক। সামান্য বিরোধিতাও সহ্য করতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানালেন যে, জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপমানজনক বলে মনে করে থাকেন। এটাও এক ধরনের রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!