এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দাড়িভিটে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সভা বয়কট সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিলীপ ঘোষ এর

দাড়িভিটে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সভা বয়কট সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিলীপ ঘোষ এর

দাড়িভিটে সম্প্রতি পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সভাকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন নিহতদের পরিবার এবং স্থানীয়রা। তাঁদের সেই সিদ্ধান্তকেই এবার প্রকাশ্য জনসভার মঞ্চ থেকে সমর্থন জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রায়গঞ্জের চন্ডীতলার বিক্ষোভ সমাবেশের পর সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে তিনি জানান যে দাড়িভিটের মানুষ শুভেন্দু অধিকারীর ভোট বয়কট করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন,শুভেন্দু অধিকারী ইসলামপুরে সভা করতে গিয়ে বনধের দিন রাজ্যপুলিশ দিয়ে দাড়িভিটের সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন। শুধু তাই নয়,দাড়িভিট কান্ডের সেখানকার নিরীহ মানুষদেরও গ্রেফতার করিয়েছেন। তারপর আবার সেখানে সভা করতে যাচ্ছেন৷ যেভাবে তিনি দাড়িভিটের মানুষের উপর অকারণে অত্যাচার চালিয়েছেন,তারপর যদি সেখানকার মানুষ শুভেন্দু অধিকারীর সভা বয়কট করে তাহলে তাঁরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই গর্জে উঠে জানালেন রাজ্য বিজেপি সুপ্রিমো।

প্রসঙ্গত, এদিন রায়গঞ্জের চণ্ডীতলার মাঠে রাজ্য বিজেপি সুপ্রিমোর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই সমাবেশে যাওয়ার আগে রায়গঞ্জের রেল ঘুমটি এলাকা থেকে মিছিল করে চন্ডীতলার মাঠে যান তিনি। এই মিছিলে জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপ বাবু লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করবে বলেই আশা প্রকাশ করেন৷

পাশাপাশি এটাও বলেন,পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাব সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করে জয় হাসিল করেছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটে সেরকমটা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ ভোট হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায়। দিল্লি থেকে আসবে পুলিশ৷ তাদের এক হাতে থাকবে রুল এবং অন্য হাতো থাকবে বন্দুক। এরপর চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন,”তৃণমূল কর্মীদের যা পছন্দ চেয়ে নেবেন। রুল খেতে চাইলে রুল আবার গুলি খেতে চাইলে গুলি, দুটোই পাওয়া যাবে। লোকসভা ভোটের সময়ে যেন TMC-র কোনও লোক বুথে গিয়ে ঝামেলা না করেন। দিল্লি পুলিশের রুলের আঘাতে হাড় ভাঙলে জুড়তে সময় লাগবে।”

 

এখানেই শেষ নয়,ফসল বিমা যোজনা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ভুললেন না তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে সম্বোধন করে বললেন,ফসল বিমা যোজনার ৫০% দেয় কেন্দ্রীয় সরকার আর ৫০% দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই অস্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যে ভুরি ভুরি মিথ্যে কথা বলেন তিনি।

দিলীপ বাবু আরো জানান, এই ফসল বিমা যোজনার সমস্ত তথ্যই ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনিও এ ব্যাপারে লাইভ ভিডিও আপলোড করেছেন। সেখানেই স্পষ্ট দেখা যাবে,কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পকে রাজ্য সরকার নিজেদের প্রকল্প বলে চালাচ্ছে। এর পাশাপাশি, ভাঙড়ের আন্দোলন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন তিনি। বলেন,সরকার তার কাজ করবেই। সেই কাজ পছন্দ না হলে সাধারণ মানুষের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। তবে তাঁদের কথা না শুনে কখনোই চাপ দেওয়া উচিৎ নয়।

মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একসময় মানুষের অধিকার রক্ষার জন্যে আন্দোলন করেই ক্ষমতায় এসেছেন। তথচ তিনিই এখন আন্দোলনকে সমর্থন করছেন না। ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল নেত্রীর এই দ্বিচারী আচরণের কারণ কী জানতে চাইলেন তিনি। ১৯’এর লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ আসন থেকে তিনি লড়ছেন কিনা এই প্রশ্ন দিলীপ বাবুকে করা হলে তিনি বলেন,এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। এটা নিয়ে এখনো তাঁর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলেই জানান তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!