এবার বিমানে নিয়ে যাত্রী সুবিধা নিয়ে সরব তৃণমূল, একগুচ্ছ দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশ জাতীয় রাজ্য December 28, 2018 যেকোনো উৎসবের মরশুমে বিমানের টিকিটের অপ্রত্যাশিত লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং টিকিট বাতিল করলেই ১০০% মাশল দিতে হয় যাত্রীদের। এরজন্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিমান পরিষেবা নিয়ে ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। এই সমস্যার ইতি টানার জন্য এবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশ করল সংসদের একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি। সড়ক পরিবহণ, জাহাজ, অসামরিক বিমান পরিবহণ, পর্যটন ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত এই স্থায়ী কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে হলদিয়া বন্দর। এর পাশাপাশি,কমিটি এটাও জানিয়েছে, লালকেল্লার দায়িত্ব কখনোই কোনো বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া উচিৎ নয়। এক্ষেত্রে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ভূমিকা বিশ্লেষণ করে দেখবে এই সংসদীয় কমিটি। গতকাল সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,যাত্রী এবং বিমান কর্তৃপক্ষ দু দিকেরই স্বার্থরক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। রিপোর্টে উঠে এসেছে,যাত্রী পরিষেবা দিতে সবথেকে পিছনে পড়ে রয়েছে ইন্ডিগো। এই সংস্থা যাত্রীদের ব্যাগের ওজনের জন্যে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে,যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। অন্যদিকে, যাত্রী পরিষেবা সহ অন্যান্য কোনো সমস্যায় অগ্রগতির দিক থেকে প্রথমে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। অন্যদিকে,জাহাজ মন্ত্রক নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে এই কমিটি জানিয়েছে উন্নয়নের দিক থেকে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে হলদিয়া বন্দর। পিছনে ফেলেছে মুম্বাই,পারাদ্বীপ,কোলকাতা কোচিন,চেন্নাই সহ অন্যান্য সব বন্দরকে। জানা গিয়েছে,হলদিয়া বন্দরের উন্নয়নের হার ১৮.৬১ শতাংশ। কোচিনের ১৬.৫২ শতাংশ এবং পারাদ্বীপের ১৪.৬৮ শতাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পর্যটন শিল্পের অগ্রগতির জন্যে কেবল নামী দামী বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করে থাকলে চলবে না। তার জন্যে দরকার উপযুক্ত পরিকাঠামো। এমনটাই বক্তব্য কমিটির। সংস্কৃতি মন্ত্রকের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরে বরাদ্দ অর্থের ৭০%ই দেওয়া দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্র,তেলেঙ্গনা এবং ওড়িশার খাতে। এর ফলে বঞ্চিত হয়েছে অন্যান্য রাজ্যগুলো। যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় এমনটা গ্রহনীয় নয়,এমনটাই অভিযোগে জানাল কমিটি। পাশাপাশি কমিটি কেন্দ্রীয় সরকারকে আরো জানিয়েছে যে, কোনো বেসরকারি সংস্থাকে দেশের হেরিটেজ স্থাপত্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিতে হলে তা অবশ্যই দেওয়া উচিৎ ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসাবে। তবে অবশ্যই সেটা প্রযোজ্য হবে তুলনায় ছোট স্থাপত্যের ক্ষেত্রে। বড় স্থাপত্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কখনোই বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া উচিৎ নয়। সেক্ষেত্রে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন রয়েছে৷ পাশাপাশি কমিটি সুপারিশ করে আরো জানায়,দেশের সমস্ত শিল্পীকে সিজিএইচএস (কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য প্রকল্প)-এর আওতায় আনা হোক। উল্লেখ্য,সংসদে লোকাসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে ১৪ টি রাজনৈতিক দলের মোর ৩০ জন সাংসদ এই কমিটিতে রয়েছেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের এই একগুচ্ছ দাবীকে কেন্দ্রীয় সরকার মান্যতা দেয় কিনা সেটা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ১৯’এর লোকসভা ভোট পূর্ববর্তী একমাত্র পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বিজেপিকে চাপে ফেলাই তৃণমূলের একমাত্র লক্ষ্য,এটা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই,এমনটাই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -