এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বহরমপুর থেকে শুভেন্দু অধিকারীর দাঁড়ানো নিয়ে জল্পনার মাঝেই বড় ঘোষণা তাঁর নিজের

বহরমপুর থেকে শুভেন্দু অধিকারীর দাঁড়ানো নিয়ে জল্পনার মাঝেই বড় ঘোষণা তাঁর নিজের


অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল – আর, এবার সেই সমস্ত জল্পনাকে নিবৃত্ত করতে এগিয়ে এলেন তিনিই। রাজ্যে একের পর এক কংগ্রেস গড়ে ভাঙ্গন ধরিয়ে ঘাসফুল ফোটাতে সক্ষম হয়েছেন তৃনমূল কর্মী-সমর্থকদের ‘নয়নের মনি’ শুভেন্দু অধিকারী। যার মধ্যে অন্যতম অধীর চৌধুরীর মুর্শিদাবাদ – সেখানে, একদিকে যেমন একের পর এক বিরোধী বিধায়কদের শাসক শিবিরে যোগদান করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি, ঠিক তেমনই কার্যত এই মুর্শিদাবাদকে বিরোধী-শূন্য করে দিয়েছেন সেই শুভেন্দুবাবুই।

আর, তারফলে এখানে অনেকেরই দাবি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে এই মুর্শিদাবাদের কোনো একটি আসন থেকে লড়াই করুন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, বুধবার বহরমপুরে তৃণমূল নেতা মান্নান হোসেনের স্মরণসভায় এসে সেই সমস্ত জল্পনা স্পষ্ট করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। এদিন মান্নান হোসেনের এই স্মরণসভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান মহম্মদ সোহরাব, জেলা তৃণমূল সভাপতি সুব্রত সাহা, সহ সভাপতি অশোক দাস, জাকির হোসেন, রাজ্যের তৃনমূল নেতা অলোক দাস, মহম্মদ আলি, সাগির হোসেন, প্রয়াত মান্নান সাহেবের দুই পুত্র সৌমিক হোসেন, রাজীব হোসেন।

এছাড়াও ছিলেন – জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মন্ডল সহ অন্যান্য বিধায়ক, পুরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি এবং দলীয় পদাধিকারীরা। আর এই সভাতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে কার্যত সেই কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজনীতিতে আমার বাবাকে যারা অপমান করেছিলেন তাদেরকে গণতান্ত্রিকভাবে পরাস্ত করেছি। এই জেলায় মান্নান হোসেনকে অধীর চৌধুরী অপমান করেছেন। তাই ২০১৯ এ, এই অধীর চৌধুরীকে পরাস্ত করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলাম”।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলেও এবার অধীর চৌধুরীর রাজত্ব যে এই মুর্শিদাবাদে ধ্বংস হবে, এদিন তাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন তৃনমূলের এই হেভিওয়েট নেতা। আর শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্যের পরই আরও ক্রমশ জল্পনা শুরু হয়েছে যে, তাহলে কি আগামী লোকসভা ভোটে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী? অবশ্য এই রকম কোনও জল্পনায় এখনই মাথা ঘামাতে চান না তৃণমূল নেত্রীর অন্যতম ভরসার মুখ তথা রাজ্যের পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আগেও যেমন বিভিন্ন সভায় জানিয়েছেন – তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক, এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না।

এদিন তিনি বলেন, “লোকসভা ভোটে কে কোথায় প্রার্থী হবে তা দল ঠিক করবে”। তবে বহরমপুর শুধু নয়, মুর্শিদাবাদের তিনটি লোকসভা কেন্দ্রই তৃণমূলের দখলে আসবে বলে আশাবাদী তিনি। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী যাতে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়ান এদিন স্মরণ সভার মঞ্চ থেকে তাকে সেই প্রস্তাব দেন বিধায়ক তথা মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি নিয়ামত শেখ। সব মিলিয়ে প্রয়াত তৃণমূল নেতা মান্নান হোসেনের স্মরণসভা থেকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা চরমে উঠল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!