এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দার্জিলিং পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবির পিছনের কারণ কি? জানালেন জিটিএ চেয়ারম্যানের

দার্জিলিং পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবির পিছনের কারণ কি? জানালেন জিটিএ চেয়ারম্যানের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ১৯৮৬ সালে সুবাস ঘিসিংয়ের আমলে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে গোর্খা জাতিরা পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলেছিল। তারপর বিভিন্ন সময়ে এই দাবিকে নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড়ের পরিস্থিতি, চলে ভাংচুর, অগিকাণ্ড, মারামারি, ব্যাহত হয়ে পরে স্বাভাবিক জীবন, বিপর্যস্ত হয় ব্যবসা-বাণিজ্য।

প্রসঙ্গত গত বুধবার দার্জিলিং এর বিভিন্ন জনজাতির বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পাহাড়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ে বিশেষ বৈঠক করলেন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা।এই বৈঠকে জিটিএ-র প্রধান সচিব অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে তিনি জানালেন পৃথক রাজ্য নয়, পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নই রাজনৈতিক দলগুলির মূল লক্ষ হওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিনয় তামাং পাহাড়ের নানাবিধ সমস্যাগুলির সুষ্ঠু সমাধান ও পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চলতি মাসেই একটি চিঠি লিখেছেন। বিজেপির উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতেই তাঁর এই প্রয়াস বলে অনেকের অভিমত। এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা জানান, পৃথক রাজ্যের পরিবর্তে কর্মসংস্থান, উন্নয়ন ইত্যাদিতাই পাহাড়ের প্রকৃত উন্নতি সম্ভব।

জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা জানালেন দার্জিলিং পাহাড়ের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, পানীয় জলের সুব্যবস্থা, জমির পাট্টা, এলাকার উন্নয়ন, প্রভৃতির জন্য রাজনৈতিক দলগুলির লড়াইতে নামা প্রয়োজন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভোটের সময় আলাদা রাজ্যের দাবি উসকে দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি লাভবান হলেও, এরফলে প্রকৃত কোনো লাভ হয়নি পাহাড়বাসীর। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, এই অঞ্চলের বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরা চাকুরীর জন্য বাইরে চলে গেছে। এই পাহাড়ি অঞ্চল ক্রমশই বয়স্ক মানুষের ভিড়ে ভরে যাচ্ছে। নিয়োগ কমিশন এখানে অকার্যকর বলে প্রমাণিত হচ্ছে। বেশীরভাগ সরকারী কর্মচারী অস্থায়ী। যারা এখানে বাড়ি করেছেন তাদের ৮০ শতাংশ এর জমির পাট্টা নেই। এই ব্যাপারগুলিতে সরকারের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। সমস্ত জাতিকে, সমস্ত বোর্ডকে নিয়ে একসঙ্গে এবিষয়ে একসঙ্গে চলতে চায় জিটিএ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে দার্জিলিংয়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি সম্পর্কে তিনি জানালেন, ” প্রত্যেক গোর্খার মতো আমরাও মনে কোণে আলাদা রাজ্যের বিষয় রয়েছে। কিন্তু আমি এলাকা ঘুরে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে অন্যরকম চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। সুবাস ঘিসিংয়ের আমল ’৮৬ সাল থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি চলছে। তাতে রাজনীতির লোকেদের জন্য পাবর্ত্য পরিষদ এবং জিটিএ-র চেয়ার এসেছে। তার বেশি কিছু নয়। আসলে আমরা ধাপে ধাপে এগোইনি কোনওদিনই।’’

গত বুধবারের বৈঠকের জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা আরো জানান যে, পাহাড়ের অস্থিরতার কথা সকলেই অবগত। এই কারণে অনেকেই এখানে বিনিয়োগ করতে চান না । তারা ভয় পান পাহাড়ের গন্ডগোল, বিস্ফোরণ, বন্ধকে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ” প্রথমে দরকার শান্ত সম্প্রীতির পাহাড়। তিন বছরে পরিবেশ পাল্টেছে। আরও পাল্টাতে হবে। তাতে কর্মসংস্থান বাড়বে।’’ তাঁর অভিযোগ রাজনৈতিক নেতারা পাহাড়ের উন্নয়নের পরিবর্তে শুধু আলাদা রাজ্যের জিগির তুলে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি করে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!