এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > যোগীরাজ্যের তুলনা টানতে গিয়ে মহা ফ্যাসাদে মমতা, মোক্ষম চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর !

যোগীরাজ্যের তুলনা টানতে গিয়ে মহা ফ্যাসাদে মমতা, মোক্ষম চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তার বাংলা নাকি সেরার সেরা! একটাও উন্নয়ন নাকি পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাদ নেই! কথায় কথায় অন্য রাজ্যকে ছোট করার জন্য উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ টেনে ধরে বড় বড় বক্তব্য রাখতে দেখা যায় এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সত্যিই কি এই পশ্চিমবঙ্গকে তিনি উত্তরপ্রদেশের মত তৈরি করতে পারবেন? তা করার মত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে কি? উত্তরপ্রদেশে সরকারি কর্মচারীদের চোখের জল পড়ে না, যেটা পশ্চিমবঙ্গে পড়ে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারি কর্মচারীদের যেভাবে খুশিতে রেখেছেন, সেটা কেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাখতে পারছেন না! তাই উত্তর প্রদেশ নিয়ে তুলনা টানার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম চাপের মুখে ফেলে দিলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একেবারে তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তাতে ঘুম ওড়ার জোগাড় এই রাজ্যের সরকারের। যদি লজ্জা থাকে, তাহলে আর উত্তরপ্রদেশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তুলনা টানতে আসবেন না বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে এই বিষয় নিয়ে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি রীতিমত মুখ্যমন্ত্রীকে ধুয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার সরকারি কর্মচারীদের 46 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যের সেটা মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারেননি। তাই যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে এই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সেটা দিয়ে দেখান মুখ্যমন্ত্রী। আর উত্তরপ্রদেশ সরকার পেট্রোল, ডিজেল এবং গ্যাসের দাম থেকে রাজ্যের যে সেস, সেটা তুলে নিয়েছেন। সেটা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করে দেখান।”

আর শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা শুনেই অনেকে বলছেন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাহলে ঠিক কতটা চালাক, ভাবতে পারছেন? তিনি অন্য রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ টানেন। কিন্তু অন্য রাজ্য যেভাবে সরকারি কর্মচারীদের খুশি রাখে, যেভাবে রাজ্যের মানুষকে স্বস্তি দিয়ে নিজেদের সেস তুলে নেয়, সেটা কেন পশ্চিমবঙ্গ করে না? কিভাবে মানুষকে শোষণ করছেন এই রাজ্যের সরকার এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রী, শুভেন্দু অধিকারী তা তো বুঝিয়ে দিলেন। তাহলে অন্য রাজ্যের সঙ্গে প্রসঙ্গ না টেনে সেই উত্তরপ্রদেশের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা না টেনে নিজের রাজ্যের উন্নতির দিকে নজর দিন মুখ্যমন্ত্রী। আজকে সরকারি কর্মচারীরা মহার্ঘভাতার জন্য রাস্তায় বসে রয়েছেন। কিন্তু তাদের জন্য ঘোষণা করাতে অনেক দূরের কথা, পাশে দাঁড়ানোর মত কথাও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়নি। উল্টে তিনি ঘেউ ঘেউ করবেন না বলে মন্তব্য করছেন। তাই যোগী আদিত্যনাথের মত দয়ালু মুখ্যমন্ত্রী হতে গেলে সাত জন্ম তপস্যা করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখে বড় বড় কথা অনেকেই বলতে পারেন। কিন্তু কাজের কাজ করার লোক খুব কম। তাই বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ নিয়ে কথা না শুনিয়ে সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে রাজনীতি করতে সবথেকে বেশি পছন্দ করেন। রাজ্যের মানুষের উন্নতির দিকে তার নজর নেই বললেই চলে। সেই কারণেই কোন রাজ্যে কি হচ্ছে, সেই দিকে নজর দিয়ে সেখান থেকে খুঁত বের করে নিন্দা করতে দেখা যায় এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু উত্তর প্রদেশ যেভাবে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে, সেটা কেন নেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর? কেন অন্য রাজ্য থেকে ভালো গুণগুলো নেওয়ার মতো ক্ষমতা তার নেই! পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংস করা ছাড়া, বিপদে ফেলা ছাড়া এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আর কি কোনো কাজ নেই! শুভেন্দু অধিকারী যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, তা গ্রহণ করার মত ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রয়েছে কি? দিনের শেষে এই প্রশ্নই তুলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!