এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফিরহাদের চ্যালেঞ্জ! এবার কি মন্ত্রীপদে ইস্তফা? নারদ তথ্য সামনে এনে জোরালো দাবি বিজেপির!

ফিরহাদের চ্যালেঞ্জ! এবার কি মন্ত্রীপদে ইস্তফা? নারদ তথ্য সামনে এনে জোরালো দাবি বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পৌর নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় রবিবার হঠাৎ করেই ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে চলে যায় সিবিআই আধিকারিকরা। কার্যত অপ্রস্তুত হয়ে যান মন্ত্রী সাহেব। গোটা বাড়ি ঘিরে রাখা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন, রবিবার কিছু একটা হবে বঙ্গ রাজনীতিতে। কিন্তু তেমন কিছুই করার মুরোদ হলো না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। তবে মন্ত্রী সাহেব অনেক কিছু করলেন। কেন্দ্রীয় সংস্থা বেরিয়ে যাওয়ার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনেক কথা বলার পাশাপাশি তিনি এটাও বললেন, যদি তার বিরুদ্ধে একটাও চুরির কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তিনি মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে দু’বার ভাববেন না। অনেকে বলছেন, মন্ত্রী সাহেবের কি স্মৃতি বিভ্রাট হয়েছে?

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ তল্লাশিতে এবং জেলায় ববি হাকিম যে ভেঙে পড়েছেন, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারোরই। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলছেন, যদি আমার বিরুদ্ধে একটাও চুরির অভিযোগ থাকে, তাহলে আমি মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজি। আর এখানেই বিরোধীরা তার উদ্দেশ্যে কড়া কড়া প্রশ্নবান ছুড়ে দিচ্ছে। তারা বলছেন, মন্ত্রী সাহেব, আপনি কি ভুলে গিয়েছেন? কিছুদিন আগেই আপনি নারদার জন্য জেল খেটে এসেছেন। সেটা অবশ্য তদন্তের বিষয়। কিন্তু আপনাকে তো সেখানেও প্রকাশ্য ভিডিওতে টাকা নিতে দেখা গেছে। যদিও বা সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি প্রিয়বন্ধু বাংলা। কিন্তু টাকা যে আপনি নিয়েছেন, এই অভিযোগ তো তোলে বিরোধীরা। তাহলে কি আপনি এবার মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেবেন?

বিজেপির দাবি, বড় বড় গলায় তো বলে দিলেন, মন্ত্রী থেকে ইস্তফা দেবেন। তাহলে আজকেই রাজ্যপালের কাছে নিজের রেজিগনেশন লেটারটা পৌঁছে দিন হাকিম সাহেব। আপনাকে তো নারদের ভিডিওতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। আর সেটা গোটা রাজ্যের মানুষ দেখেছে। প্রমাণ করুন যে, সেই ভিডিও মিথ্যা! এখনও পর্যন্ত আদালতে মাঝেমধ্যেই আপনাকে হাজিরা দিতে হয়। লজ্জাবোধ থাকলে বড় বড় গলায় এই ধরনের কথা না বলে পৌর নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি হচ্ছে, তাতে সহযোগিতা করা উচিত। কিন্তু তা না করে বিজেপির বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলে নিজেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন আপনি। তবে যতই চেষ্টা করুন, তদন্তের হাত থেকে আপনি রেহাই পাবেন না। দিনের শেষে যদি দুর্নীতি করে থাকেন, তাহলে শাস্তি আপনাকে পেতে হবে বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ববি হাকিম অনেকদিন থেকেই পৌর মন্ত্রী। আর এই সরকারের আমলে এই পৌর নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। তাহলে তার বাড়িতে তো তদন্ত করতে আসবেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে এত গা জ্বালা কেন মন্ত্রী সাহেবের? অনেকে কটাক্ষ করে বলছেন, তল্লাশি হলে দীর্ঘ জেরা হলে তো প্রমাণ হয়ে যাবে, মন্ত্রী সাহেব এতে জড়িত। তাই তিনি দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিকে সামনে আনছেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!