এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত, রাজ্যপালের মন্তব্যে দিশেহারা অভিষেক ! আহ্লাদিত পদ্ম শিবির !

কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত, রাজ্যপালের মন্তব্যে দিশেহারা অভিষেক ! আহ্লাদিত পদ্ম শিবির !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-একশো দিনের কাজের টাকার দাবিতে দিল্লিতে নাটক করার পর রাজভবনের সামনে নাটক করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভাইপো বাহিনীর নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা-নেত্রীর অনেক বড় বড় কথা বলছেন। তারা বলছেন, যতক্ষণ না রাজ্যপাল এসে তাদের সঙ্গে দেখা করবেন, ততক্ষণ নাকি তারা এই ধর্ণা মঞ্চ ছেড়ে উঠবেন না। এমনকি যুবরাজ বড় বড় গলায় এটাও বলেছেন যে, রাজ্যপালকে চিঠি লিখতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। চিঠি লিখে জানতে হবে যে, কেন বাংলার মানুষ কাজ করেও টাকা পাননি? তবে অবশেষে ভাইপোর জেদাজেদি, ধর্নার নামে নাটক, এই সমস্ত কিছুকে এক তুড়িতেই ভেস্তে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যুবরাজ যতই কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ দিক না কেন, যতই বলুক, টাকা চাই, টাকা চাই। রাজ্যপাল দিনের শেষে বুঝিয়ে দিলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেই তিনি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ সফরের পর রবিবার রাতে কলকাতায় নামেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। রাজভবনে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরের সাংবাদিকরা তাকে চেপে ধরেন বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে। আর সেখানেই রাজ্যপাল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এই বকেয়া আদায়ের যে বিষয় রয়েছে, তা নিয়ে আমি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলব। একাংশের প্রশ্ন, যুবরাজ তো বলেছিলেন যে, রাজ্যপালকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। রাজ্যপাল যে তাতে রাজি তা তো স্পষ্ট হয়ে গেল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যখন রাজ্যপাল কথা বলবেন, তখন তো কেন্দ্র বলবে, রাজ্য চুরি করেছে। তাই টাকা দেওয়া হয়নি। ফলে তখন এই সরল সত্যটা যদি রাজ্যপাল জেনে নেন এবং তা মানুষের সামনে প্রকাশ্যে চলে আসে, তখন মুখ দেখানোর মতো জায়গা থাকবে তো যুবরাজের? ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের বক্তব্যের পর তা নিয়ে প্রবল খুশি রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

বিজেপির দাবি, আর এক সেকেন্ডও দেরি না করে রাজ্যপাল অন্তত এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলুন। যুবরাজের যে ধর্নাটা চলছে, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলার পরেই তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সমস্ত কিছু অ্যাকশন নিতে শুরু করবে রাজভবন। কারণ, কেন্দ্র যখনই রাজভবনকে বলবে যে, এই রাজ্য চুরি দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে, মানুষ তাদের কাজ করেও টাকা পায়নি। তৃণমূল নেতাদের পকেটে টাকা ঢুকেছে। তখন রাজ্যপালকে এই তৃণমূলের ধর্না নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই হবে। তাকে বলতেই হবে যে, আপনারা চুরি করেছেন কেন? ফলে কেন্দ্র যে সরল শর্তটা দিয়েছে রাজ্যকে যে, হিসাব দিন, টাকা নিন, সেই একই শর্ত তখন এই তৃণমূল নেতাদের দিতে শুরু করবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল‌। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাকে রক্ষা করে কেন্দ্রের সঙ্গে তো বকেয়া আদায় নিয়ে কথা বলবেন রাজ্যপাল। কিন্তু দিনের শেষে তো তৃণমূলের চুরিটাও তখন প্রকাশ্যে চলে আসবে। তাই সেই দুঃসময়ের জন্য তৈরি থাকুন তৃণমূল নেতারা বলেই কটাক্ষ পদ্ম শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যপাল যে এতদিন চুপ করে বসেছিলেন, এমনটা কিন্তু নয়। তিনিও হয়তো ভেতরে ভেতরে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন যে, কেন রাজ্যকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না! কেন এই ধরনের আন্দোলন তৃণমূল করছে! আর সবটা জেনে বুঝেই রাজ্যপাল এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় রাজি হয়েছে। কোলকাতায় নেমেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, হ্যাঁ, আমি কেন্দ্রীয় সঙ্গে কথা বলব। অর্থাৎ একেবারে আটঘাট বেঁধেই এবার রাজ্যপাল পথে নামছেন। কারণ তিনিও খুব ভালো করে জানেন, কেন্দ্র কি বলবে! আর তখন এই রাজ্যের শাসকদলের যুব নেতাকে টাইট দেওয়া অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে রাজ্যপালের পক্ষে। এমনিতেই তো 144 ধারার মধ্যে এই ধর্ণার নাটক করছে তারা। তা নিয়ে রাজভবনের পক্ষ থেকে মুখ্য সচিবের কাছে জবাবদিহি তলব করা হয়েছে। ফলে এবার রাজ্যপাল যেভাবে বাংলার যুবরাজকে বেকায়দায় ফেলে দিলেন, তা দেখে প্রবল আহ্লাদিত গেরুয়া শিবির। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!