এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার বদলে করোনা আটকাতে ধনকারকে চিঠি কেন? জল্পনার মাঝে নিজের অবস্থান জানালেন দিব্যেন্দু

মমতার বদলে করোনা আটকাতে ধনকারকে চিঠি কেন? জল্পনার মাঝে নিজের অবস্থান জানালেন দিব্যেন্দু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট:-নির্বাচন এখনও পর্যন্ত শেষ হয়নি। বাকি রয়েছে আরও তিন দফা। আর এর মাঝেই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে বাংলায়। দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা দেশজুড়ে। নির্বাচনের প্রচার চলছে জোরকদমে। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস যখন বাড়ছে, ঠিক তখনই দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি না দিয়ে রাজ্যপাল ‌জগদীপ ধনকরকে চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদ।

যে চিঠি দেওয়াকে কেন্দ্র করে রীতিমত জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। হঠাৎ করে দলনেত্রীকে চিঠি না দিয়ে কেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক তৈরি হওয়া রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদ? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এমনিতেই শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শুধুমাত্র অধিকারী পরিবারের দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও পর্যন্ত দলবদল করেননি।

স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের সময় দলনেত্রীর বদলে রাজ্যপালকে তিনি চিঠি দেওয়ার কারণে রীতিমত তার দলবদলে জল্পনা বাড়তে শুরু। তবে এই পরিস্থিতিতে অবশেষে কি কারণে তিনি রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন! সেই কথা তুলে ধরলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী

সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যপালকে করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখীতা নিয়ে যে চিঠি দিয়েছেন দিব্যেন্দু অধিকারী, তার ব্যাখ্যা করেন তিনি। হেভিওয়েট এই তৃণমূল সাংসদ বলেন, “এখন তো নির্বাচন চলছে। রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতা খুব সীমিত। সাংবিধানিক প্রধান হলেন রাজ্যপাল। স্বয়ং মুখ্যসচিব নবান্নে বৈঠক করে ছুটে গিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট করেছেন। তাই জেলার মানুষের কথা জানিয়ে সাংবিধানিক প্রধানকে চিঠি লিখেছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ দিব্যেন্দু অধিকারী এই কথা বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, এখন কোনো সরকার রাজ্যে নেই। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্ক যাতে অবহিত করা যায় তার জন্যই এই চেষ্টা করলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে আবার বলতে শুরু করেছেন, দিব্যেন্দু অধিকারী রাজ্যপালকে চিঠি দেওয়ার পর তার দলবলের জল্পনা বাড়তে শুরু করে। এবার অধিকারী পরিবারের এই সদস্য গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে পারেন বলে দাবি করেন একাংশ। তবে সেই সমস্ত জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যে যেহেতু নির্বাচন চলছে, তাই কোনো সরকার নেই।

আর সেই কারণেই তিনি রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন বলে দাবি করে বসলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ তার এই মন্তব্যের সঙ্গে বাস্তবে তাকে নিয়ে জল্পনা চলছে, তা কিছুটা হলেও খারিজ করে দেওয়ার সুকৌশলে চেষ্টা করলেন তিনি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!