একটু নাড়া দিলেই ঝুরঝুর করে ভেঙ্গে পড়বে তৃণমূলের সংগঠন: মুকুল রায় বিশেষ খবর রাজ্য November 5, 2017 তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদানের পরে কতখানি ‘বর্ষাবেন’ সেতো ভবিষ্যৎই বলবে কিন্তু ‘গর্জনটা’ শুরু করে দিলেন মুকুল রায়। গতকাল এক বাংলা ওয়েব পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান কি অসহনীয় পরিস্থিতিতে তৃণমূল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন এবং ভবিষ্যতে তাঁর প্রাক্তন দল কিভাবে ‘তাসের ঘর’ এর মতো ভেঙ্গে পড়বে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা তৃণমূল কংগ্রেসের ‘মুখ’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও পিছন থেকে ‘চাণক্যের’ মত সংগঠনটা সামলেছেন মুকুল রায়ই। কিন্তু তাঁর নিজের হাতে তৈরি সংগঠন নিয়ে যে বিস্ফোরক উক্তি তিনি গতকাল ওই সাক্ষাৎকারে দেন তাতে রীতিমত চমকে গেছে রাজনৈতিক মহল। তাঁর মতে, শক্তিশালী (তৃণমূলের সংগঠন প্রসঙ্গে)! এসব কসমেটিক-শক্তিশালী। মেক-আপ উঠে গেলেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসবে। উইয়ের ঢিপিতে দাঁড়িয়ে আছে এখনকার তৃণমূল, একটু নাড়া দিলেই ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়বে, সবাই তৈরি আছে। মাঠে নামলেই সব স্বচ্ছ হবে, প্রথম প্রথম পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে কর্মীদের বাধা দেওয়া হবে, হ্যারাস করা হবে, এসব চেনা খেলা। শুধু মাথায় রাখতে হবে আইএএস-আইপিএস-রা দিল্লির কাছে দায়বদ্ধ, একজনকেও অযথা হয়রানি করা হলে আইন আইনের পথেই এগোবে। অন্যরকম পরিস্থিতির সামনে আসত হবে অভিযুক্ত পুলিশ-প্রশাসনকে। এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার কারন হিসাবেও খুল্লামখুল্লা মুখ খোলেন তিনি। তিনি জানান, অনেক ইস্যুতেই দলের মধ্যে সুস্থ আলোচনা চেয়েছিলাম। অনেক সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেওয়া যেত, তা হয়নি। ক্ষমতায় আসার পর দলীয় পরিকাঠামোকে অস্বীকার করা হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া অসম্পূর্ণ কিছু ভাবনা অগ্রাধিকার পেয়েছে। বারবার, একাধিক বিষয়ে দলে আলোচনা চাইলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে, বুঝেছি, এই দল আলোচনায় আস্থাশীল নয়। ওই দলের অভ্যন্তরীন কাঠামো ক্রমশঃই সংকুচিত হয়ে পড়ছিল, পরপর একাধিক ঘটনা এমনই হয়েছে, তখনই তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। শাসক দল হওয়ার পর ওই দলে শ্বাস নেওয়ার জায়গাটাই কমে আসছিল, এসব কারণেই তৃণমূল ছেড়েছি। আপনার মতামত জানান -