এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চরম ভয়ে অভিষেক? শুভেন্দুতেই এত অ্যালার্জি! ধর্না মঞ্চেই মিললো ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত! কটাক্ষ বিজেপির!

চরম ভয়ে অভিষেক? শুভেন্দুতেই এত অ্যালার্জি! ধর্না মঞ্চেই মিললো ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত! কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সাদা জামা এবং জিন্সের প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে সভামঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলেন বাংলার যুবরাজ। কখনও তাকে বলতে শোনা যায়, এই তোর বাপকে ডাক। তোর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছি‌। এরকম কথা শুনতে শুনতে অভ্যস্ত বাঙালি। কিন্তু পিসি-ভাইপো এবং গোটা দল মিলেও শুভেন্দু অধিকারীকে নিজেদের হাতের মুঠোতে আনতে পারছে না। তেমনটাই বলে বিরোধীরা। কিন্তু এবার সেই শুভেন্দু অধিকারী যে এত ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে তৃণমূলের যুবরাজের কাছেহ তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। রাজভবনের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে যে, 144 ধারার মধ্যে কেন এই ঝর্ণা হচ্ছে? আর তাতেই গায়ে ছ্যাকা পড়েছে বাংলার যুবরাজের। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, চার আনার নেতা, তিনি রাজ্যপালকে পরিচালিত করছেন!

আর ধর্না মঞ্চে অভিষেকের এই বক্তব্য শুনেই প্রবল খুশি বিজেপি‌। অনেকে বলছেন, চার আনার নেতা বলতে শুভেন্দু অধিকারীকেই কটাক্ষ করেছেন বাংলার যুবরাজ। হ্যাঁ, তিনি তো অনেক বড় নেতা। কারণ তিনি নিজের পিসির দয়ায় রাজনীতি করছেন। বিরোধী আন্দোলন তো করতে হয়নি। যার কারণে পুলিশ দিয়ে এখন বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার প্রক্রিয়াটা তিনি খুব ভালো মতই শিখেছেন। তবে দিল্লী পুলিশের এক হুইসেল শুনেই ল্যাজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হন বাংলার যুবরাজ। এইতো তিনি যুব নেতা! তিনি নাকি দলকে পরিচালিত করবেন! অভিষেক বাবু এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছেন বক্তব্য রাখতে রাখতে যে, নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কেও তারা এত গালিগালাজ করেন, সেই মোদীজি নির্দেশ দিলেও নাকি তার কিছু হতো না। রাষ্ট্রপতি নির্দেশ দিলেও নাকি তার কিছু যায় আসত না। কিন্তু কেন শুভেন্দু বাবু নির্দেশ দিয়েছেন! তাই তার কথায় কেন রাজ্যপাল চলছে! এটাতেই অভিষেকবাবুর গায়ে ছ্যাকা লেগেছে বলেই দাবি একাংশের।

তবে এখানেই বিজেপি পাল্টা প্রশ্ন করছে। তাদের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি প্রমাণ দিতে পারবেন যে, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালকে বলে এই কাজ করিয়েছেন? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি একটি যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন তুলেছেন যে, রাজভবনের সামনে থাকে 144 ধারা। সেখানে কেন রাজ্যপাল এই তৃণমূলের ধর্নার নামে এই নাটকটা সহ্য করছেন? কেন তিনি তাকে তুলে দিচ্ছেন না? ফলে নানা মহল থেকে যখন এই প্রশ্ন উঠছে, তখন নিশ্চয়ই সমস্ত দিক থেকে খোঁজ খবর নিয়ে রাজ্যপাল নিজের মতো করে মুখ্যসচিবকে চিঠি করেছেন। তাই দিশেহারা হয়ে যুবরাজ ভাবছেন, শুভেন্দু অধিকারী বুঝি রাজ্যপালকেও পটিয়ে নিল। আর তিনি তো কিছুই করতে পারছেন না! আলালের ঘরে দুলাল হয়ে পিসির দয়ায় নেতা হয়েছেন। পুলিশকে কন্ট্রোল করছেন। কিন্তু একা শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে তৃণমূলের বিনাশ ঘটাতে উঠেপড়ে লেগেছে, তাতে জেরবার হয়ে উঠছেন ভাইপো বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী তো আর রাজ্যপালের কানে কানে একথা বলে দেননি। তিনি প্রকাশ্যেই যা বলার বলেছেন। কিন্তু যুবরাজ কেন ভুলে যাচ্ছেন, যখন শুভেন্দু অধিকারীকে কেস দিতে হয়, যখন একের পর এক মিডিয়াদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হয়, তাদেরকে কেস দিয়ে আটক করতে হয়! তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠাতে হয়। তখন তিনি তো গোপনে গোপনে পুলিশকে সেই নির্দেশ দেন।ফলে মেরুদন্ডটা রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। তিনি চোখে চোখ রেখে কথা বলতে জানেন। তাই যা বলেছেন, প্রকাশ্যেই বলেছেন এবং আইনগত সমস্ত দিক জেনেই বলেছেন যে, রাজভবনের সামনে সভা করা যায় না।

 

অনেকে আবার এটাও বলছেন, একশো দিনের কাজের টাকা পাওয়ার বিষয়টা তো সরকারি এবং প্রশাসনিক বিষয়। সেখানে তৃণমূলের কোনো একজন পাতি সাংসদ কি করে এই সরকারি বিষয়ের নেতৃত্ব দিতে পারেন? কেন সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মুখ দেখানোর মতো সাহস পাচ্ছেন না! অবশ্য এই দলে ভাইপোই সব। তা না হলে ধুপগুড়িকে মহকুমা করার মত সরকারি ঘোষণা কখনও ভাইপোর মুখ থেকে বেরোয়? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তবে একটা জিনিস স্পষ্ট, শুভেন্দু অধিকারীকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপো। যার নমুনা হিসেবে রাজভবনের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিবের কাছে 144 ধারার মধ্যে কিভাবে ধর্না সেই প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়েছে। আর তার কারণ হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করছেন তৃণমূলের যুবরাজ। আর এতেই স্পষ্ট, সব ব্যাপারেই শুভেন্দু অধিকারীর ভূত দেখতে শুরু করেছে তৃণমূল পরিবার। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!