চুরির গ্যাড়াকলে ঘাসফুল, আদালতকেও অ্যাটাকিং মুডে মমতা বাহিনী? ধ্বংসের মূলে তৃনমূল, কটাক্ষ বিজেপির! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 9, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বারবার আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন বারবার তারা ডাকাডাকি করছে, কেন তারা তদন্তকে এগিয়ে নিজে যেতে পারছে না, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করছেন বিচারপতিরা। যার ফলে কার্যত বাধ্য হয়েই এখন একেবারে ময়দানে নেমে দ্রুত গতিতে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পৌর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পরে হেভিওয়েটের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি করছে তারা। আর তাতেই ক্ষেপে যাচ্ছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। তারা বলছেন যে, এটা নাকি প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ! এসব করে নাকি তৃণমূলকে বদনাম করা হচ্ছে, তাদের ব্যক্তির চরিত্রকে কালিমা লিপ্ত করা হচ্ছে! তবে তৃণমূল যা খুশি বলতেই পারে।কিন্তু তাতে তো তদন্ত আর থেমে থাকবে না।আর এই তদন্ত তো হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। ফলে আদালত যেহেতু একটা সময়সীমা দিয়েছে, তাই তার সঙ্গে তাল মেলাতে গেলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দ্রুত গতিতে এভাবেই তদন্ত করতে হবে বলেই দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির। শুধু তাই নয়, তৃণমূলকে কটাক্ষের এমন একটি জালে ফাসিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার, যা দেখে সাবাশি দিচ্ছে বিরোধী শিবির। প্রসঙ্গত, এদিন দ্রুত গতিতে তদন্ত চলা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা তো আদালতের নির্দেশে হচ্ছে। আদালত তো বলেছে, 31 ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। তাই সেই সময়ের মধ্যে যদি তদন্ত কমপ্লিট করতে হয়, তাহলে তো ইডি, সিবিআইকে একটু দ্রুত গতিতে তদন্ত করতে হবে। তাই তারা এত দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করছে। এটা নিয়েও যদি তৃণমূলের আপত্তি থাকে, তাহলে তারা আদালতের সামনে গিয়ে এবার ধর্না দিক।” একাংশের বক্তব্য, যারা টাকা চুরি করে রাজভবনের সামনে গিয়ে ধর্না দিয়ে বড় বড় কথা বলতে পারে, তারা অনেক কিছুই করতে পারে। সেদিক থেকে ঠিকই বলেছেন সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের যদি অতই হিম্মত থাকে, তাহলে এবার তারা আদালতের যেহেতু নির্দেশ, তাই আদালতকে চ্যালেঞ্জ করে সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ করুক। তাহলেই বোঝা যাবে, কত দম তৃনমূল যুবরাজের! অনেকে আবার এটাও বলছেন যে, তৃণমূল কি আদালতকে বদনাম করতে বাকি রেখেছে নাকি! প্রতিদিন তাদের এক মুখপাত্র আদালতের একের পর এক বিচারপতিদের সম্পর্কে যা ইচ্ছে, তাই বলে যান। ফলে তৃণমূলের কাছ থেকে অনেক কিছুই আশা করা যায় বলেই কটাক্ষ সমালোচকদের। বিজেপির দাবি, এই দল সবকিছুকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে। তৃনমূল নেতারা বিচার ব্যাবস্থাকেও অমান্য করে। দলীয় মুখপাত্ররা বিচারপতিদের অপমান করতেও বাকি রাখেন না। ফলে সুকান্তবাবু তো একদম সঠিক যুক্তিই দিয়েছেন। হয়ত এবার দেখা যাবে, তৃনমূল নেতারা এই তদন্ত বন্ধ করতে সব চেষ্টা চালাবেন। এখন তো তারা মুখে প্রতিবাদ করছেন। ভবিষ্যতে যদি এতই এই তদন্ত নিয়ে সমস্যা হয়, তাহলে আদালতের দরজায় গিয়ে আপত্তি জানাক তৃণমূল। আর সেখানেই তাদের মুরোদ দেখা যাবে বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের। পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃনমূল নেতারা তো নিজেদের সততার দল বলে দাবি করে। তাদের যুবরাজের তো অনেক বড় বড় ডায়লগ। দুর্নীতি হলে তদন্ত হবেই। আর কেন্দ্রীয় এজেন্সি তো পায়ে হেঁটে আসেনি। আদালতের নির্দেশেই তদন্ত হচ্ছে। তাই নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি হলে তৃনমূল নেতাদের তা নিয়ে মাথাব্যথা না হওয়াই ভালো। এসব নিয়ে যদি তারা এতই চিন্তিত হন, তাহলে আদালতের সামনে গিয়েও ধর্না দিক। আর তখন শাসক দলের নেতাদের জারিজুরি ফাঁস হয়ে যাবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -