এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ‘কেরলে কুস্তি, বাংলায় দোস্তি’ দুই নীতি নিয়ে ব্যাপক চাপে কংগ্রেস, মুখ বাঁচাতে সোনিয়া আসলেও প্রচারে আসছেন না রাহুল! জল্পনা তুঙ্গে

‘কেরলে কুস্তি, বাংলায় দোস্তি’ দুই নীতি নিয়ে ব্যাপক চাপে কংগ্রেস, মুখ বাঁচাতে সোনিয়া আসলেও প্রচারে আসছেন না রাহুল! জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যতই শারীরিক অসুস্থতা গ্রাস করুক না কেন, নির্বাচনের জন্য একদিনের জন্য হলেও পশ্চিমবঙ্গের ভোটের প্রচারে আসতে চাইছেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া গান্ধী অসুস্থতার কারণে এখন দলের অনেক কর্মসূচিতে যেতে পারছেন না। সেদিক থেকে দলের যুবরাজ হিসেবে পরিচিত রাহুল গান্ধী সব জায়গাতেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই সোনিয়া গান্ধী যদি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের জন্য প্রচার করতে আসেন, তাহলে রাহুল গান্ধীরও আসা দরকার বলে দাবি করছেন একাংশ।

কিন্তু সেদিক থেকে ভোটের আগে রাহুল গান্ধীর বাংলা সফর নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। অনেকে বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের ভোটের প্রচারে রাহুল গান্ধী নাও আসতে পারেন। বলা বাহুল্য আগামী 19 এবং 20 মার্চ অসমে ভোটের প্রচারে যাবেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু বাংলায় যখন অত্যন্ত কঠিন নির্বাচন, তখন কেন সেই বাংলায় আসবেন না রাহুল গান্ধী! এখন তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে নানা মহলে।

একাংশ বলছেন, রাহুল গান্ধী যখন পশ্চিমবঙ্গে প্রচারের বিষয়টিকে এড়িয়ে যাচ্ছেন, তখন কংগ্রেসের শরিক এনসিপি’র প্রধান শরদ যাদব এবং আরজেডির তেজস্বী যাদব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। যার জেরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে কংগ্রেস। তাই এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য শরদ পাওয়ার এবং তেজস্বী যাদবকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন, তারা যাতে তৃণমূলের হয়ে প্রচার না করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিকে এড়িয়ে যেতেই রাহুল গান্ধী আপাতত বাংলায় প্রচারে আসছেন না বলে দাবি একাংশের। তবে অনেকে অবশ্য বলছেন, গত 28 ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে বাম- কংগ্রেসের মঞ্চে রাহুল গান্ধীকে বক্তা হিসেবে চেয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু শেষপর্যন্ত রাহুল গান্ধী সেই সভায় উপস্থিত হননি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাহুল গান্ধী কেরল থেকে লোকসভা সাংসদ। তাই কংগ্রেস যদি কেরলে হেরে যায়, তাহলে তার দায় তার ঘাড়ে এসে পড়তে পারে।

অন্যদিকে কেরলে এখন বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের যুদ্ধ চলছে। যা পশ্চিমবঙ্গে নেই। তাই সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বামেদের সঙ্গে একসাথে লড়াইয়ের মঞ্চে যদি রাহুল গান্ধী উপস্থিত থাকেন, তাহলে কেরলে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। আর তাই সেই দিকটিকে মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারের ব্যাপারটি এড়িয়ে যেতে চাইছেন কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি বলেন, “কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কংগ্রেসকে ভরসা করা যায় না। কিন্তু তার দল সিপিএম বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে মানসিক সুস্থতা অবশিষ্ট নেই।” অর্থাৎ কেরলে কংগ্রেস এবং সিপিএমের মধ্যে প্রধান লড়াই হলেও, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিকে সরাতে সেই সিপিএম এবং কংগ্রেস গাঁটছড়া বেঁধেছে।

স্বাভাবিক ভাবেই ভারতবর্ষের মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে বাম এবং কংগ্রেসের এই আলাদা আলাদা নীতি নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাই এই পরিস্থিতিতে কেরল থেকে নির্বাচিত হওয়া সাংসদ রাহুল গান্ধী কোনোমতেই চাইছেন না নির্বাচনের আগে বাংলায় এসে বামেদের সঙ্গে এক মঞ্চে থাকতে। আর সেই কারণেই কেরলের জয়লাভ নিশ্চিত করতে সেখানেই প্রচারে বেশি জোর দিচ্ছেন তিনি। তবে মা সোনিয়া গান্ধী বাংলায় প্রচারে আসলেও, শেষ পর্যন্ত রাহুল গান্ধী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত হন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!