এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > পরিকাঠামোর অভাবে পাচারের সময় গরু বাজেয়াপ্ত করেও নাকাল পুলিশ, নবান্নের কাছে এল বিশেষ আবেদন

পরিকাঠামোর অভাবে পাচারের সময় গরু বাজেয়াপ্ত করেও নাকাল পুলিশ, নবান্নের কাছে এল বিশেষ আবেদন

উপযুক্ত স্থানের অভাবে পাচারের সময় ধরা পড়া গবাদি পশু বাজেয়াপ্ত করা সত্ত্বেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশকে। তাই এবার নবান্নে দরবার করল তাঁরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বাংলাদেশ লাগোয়া হওয়ায় এখানে প্রায়শই সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাকারবারিদের একটি চক্র কাজ করে। এর বিশেষ অঙ্গ হিসাবে বর্ডার দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাচার হওয়াই ছিল সাধারণ বিষয়।

কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্যজুড়ে সামনে আসছিল গবাদি পশু, ভিন রাজ্য থেকে আনা উচ্চশ্রেণীর গরু এবং অন্যান্য পশু – আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার কারসাজি। কিন্তু রাজ্য সরকারের তৎপরতায় কড়া হাতে বিষয়টি দমনের কাজে নেমে পড়ে রাজ্য পুলিশ ও বিএসএফ। যার ফলশ্রুতি হিসেবে দেখা যায় এই পাচার চক্রকে বিশেষভাবে দমন করতে তৎপর হয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

কিন্তু যে পরিমাণে গবাদি পশু সীমান্ত এলাকা থেকে পাচারের আগে ধরা পড়ছে তা রাখা নিয়ে রীতিমত স্থানীয় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশকে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই নিয়মে বিএসএফ যদি গবাদিপশু বাজেয়াপ্ত করে তাহলে তা তারা স্থানীয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেবে এবং পরবর্তীতে তা কাস্টমের আইন অনুসারে নিলাম হবে এবং পুলিশ যেগুলো ধরবে তা থাকবে থানায়। কিন্তু হালেই কয়েক মাস যাবত যে পরিমাণে গবাদি পশু উদ্ধার করছে পুলিশ, তা কোনোভাবেই থানায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ হিসেবে দেখা গেছে যে এই এই সমস্ত পশুদের আলাদাভাবে থানায় রাখা বা রক্ষণাবেক্ষণ করার কোন পরিকাঠামো নেই। এমনকী যেহেতু থানা এলাকা সবসময়ই জনগণের কাজে ব্রতী থাকে তাই এত বিশাল পরিমাণ গবাদি পশু সেই স্থানে রাখলে পরিছন্নতা জনিত সমস্যায় ভুগতে হবে কর্তৃপক্ষকে। তাই বাধ্য হয়ে সেই সমস্ত ধরা পড়া প্রাণীদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ।

তাই এবার নবান্নের কাছে তাদের আবেদন, দ্রুত এই জটিলতা নিষ্পত্তি করার জন্য। জেলা পুলিশের আশা, উর্দ্ধতন বিভাগ ওয়াকিবহাল হলে সমান্তরাল গতিতেই চলতে থাকবে অসাধু পাচার চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের ধরপাকড় এবং প্রাণীদের রক্ষণাবেক্ষণ। এখন পশুর চোরা কারবার আটকানো রাজ্য পুলিশের পাশে রাজ্য সরকার কিভাবে দাঁড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!