এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পৌর নিয়োগে নয়া মোড়, মমতার মন্ত্রীদের জেলযাত্রা নিশ্চিত? চাপ বাড়ালো গেরুয়া শিবির!

পৌর নিয়োগে নয়া মোড়, মমতার মন্ত্রীদের জেলযাত্রা নিশ্চিত? চাপ বাড়ালো গেরুয়া শিবির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পৌর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের একের পর এক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। রবিবার ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে প্রায় নয় ঘন্টা তল্লাশি করেছে। তবে সাধারণ মানুষ আশা করেছিলেন যে, রাজ্যের পৌরমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু চুপচাপ দীর্ঘ তল্লাশির পর তারা বেরিয়ে আসার কারণে হতাশ বিরোধীরাও। রাজ্যের পুরমন্ত্রী আবার বড় বড় গলায় দাবি করছেন, তিনি কি চোর? কেন তাকে এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে! তবে নিজেকে বাঁচাতে শেষ চেষ্টা হয়তো তৃণমূলের মন্ত্রীরা করছেন‌। কিন্তু তারা এভাবে আর যাই হোক, রেহাই পাবেন না। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই চুরি ধরতে হলে আগে সকলকে হেফাজতে নিতে হবে বলেই দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

প্রসঙ্গত, এদিন ফিরহাদ হাকিমের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে যে সমস্ত কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভাইপোর আশীর্বাদে এই ফিরহাদ হাকিমরা যে সমস্ত চাকরি দিয়েছেন, তার তদন্ত করা উচিত। সবার আগে এই চোরেদের হেফাজতে নেওয়া উচিত। হেফাজতে নিয়ে এদের কাছ থেকে সমস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। তা না হলে কোনো লাভ হবে না।” একাংশ বলছেন, সাধারণ মানুষ এই কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের তৎপরতা দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। আদালতেও তারা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা শুধু ডাকাডাকি এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির মধ্যেই আটকে রয়েছে। কোনো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার মত মুরোদ তাদের হচ্ছে না। কিন্তু মানুষ তখনই এই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে বিশ্বাস করবে, যখন তারা একটা কড়া স্টেপ নেবে। তাই শুভেন্দু অধিকারীও নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সেই ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন।

বিজেপির দাবি, আর ডাকাডাকি বা তল্লাশি নয়। এবার গ্রেপ্তারের পালা শুরু করতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। দুর্নীতি না হলে তারা বাড়ি বাড়ি তল্লাশি কেন করছেন! তাহলে এটা স্পষ্ট যে, যাদের বাড়িতে তল্লাশি হচ্ছে, যাদেরকে ডাকা হচ্ছে, তারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। যারা চুরি করেছে, তারা তো মুখে অনেক বড় বড় কথা বলবেনই। শেষ পর্যন্ত নিজেদের চুরি ঢাকতে নিজেদের সততার বড় বড় উদাহরণ তারা সামনে আনবেন। কিন্তু এসব কিছুতে গলে গেলে চলবে না। মানুষ চাইছে, গ্রেপ্তার হোক রাঘব বোয়ালরা। তাই যতক্ষণ না তারা গ্রেফতার হচ্ছে, ততক্ষণ কেন্দ্রীয় এজেন্সি সম্পর্কে মানুষের মনে বিশ্বাস ফিরবে না। যে সমস্ত মন্ত্রীরা বড় বড় কথা বলছেন এবং যাদের বাড়িতে তল্লাশি হচ্ছে, তারা বুঝে গিয়েছেন যে, তাদের সময় শেষ। তারা আর বাইরে থাকতে পারবেন না। তাই এখন চুরি ঢাকতে তাদের এই ভাষণ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু জেল যাত্রা তাদের নিশ্চিত বলেই কটাক্ষ পদ্ম শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতারা নিজেদের সততার প্রতীক হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাদের বাড়িতে গেলেই তাদের গ্যাস বেলুনের হাওয়া বেরিয়ে যায়। ফলে পৌর নিয়োগ নিয়ে যখন দুর্নীতি সামনে আসছে, যখন বেকার যুবক যুবতীরা চোখের জল ফেলছেন, তখন শুধুমাত্র এই তল্লাশি ডাকাডাকি করেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে থেমে গেলে চলবে না। যদি দুর্নীতির রহস্য উদঘাটন করতে হয়, তাহলে এবার অন্তত কড়া একটা পদক্ষেপ নিতেই হবে। সাধারণ মানুষের মনে এই বিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে হবে যে, ইডি-সিবিআই পারে বিড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাঁধতে। তাই এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সমস্ত মন্ত্রী এবং তার দলের নেতারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন এবং যাদের ডাকাডাকি করা হচ্ছে, তাদের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিলেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে তিনি দাবি জানালেন যে, এবার গ্রেপ্তারির পালা শুরু করতেই হবে। ফলে তদন্তের ক্ষেত্রে সেই মতো করেই যদি এবার পথ অবলম্বন করা শুরু করে কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে ঠগ বাঁচতে গা উজার হয়ে যাবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!