এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে সামনে এল চমকে দেওয়া তথ্য! তীব্র উত্তেজনা

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে সামনে এল চমকে দেওয়া তথ্য! তীব্র উত্তেজনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কিছুদিন আগেই সামনে এসেছিল মন খারাপ করা তথ্য। ভারতের যে সমস্ত ভ্যাকসিন গুলির ট্রাইল পর্ব চলছিল, তার মধ্যে থেকে সবথেকে ভালো ফলাফল করেছিল অক্সফোর্ডের কোভ্যাকসিনটি। এরপর অনুমান করা হয়েছিলা এটিই হয়ত হু অনুমোদিত পৃথিবীর প্রথম করোনা ভ্যাকসিন হতে চলেছে। এমনটাই আশা করেছিলেও তবে সেই আশায় জল ঢেলে কিছুদিন আগেই খবর আসে আমেরিকা আপাতত সেই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ রেখেছে। কারণ ইতিমধ্যেই একজন টিকা পরীক্ষার্থীর শরীরে দেখা গেছে কিছু অস্বাভাবিকতা আর তাই ট্রায়ালের নিয়ম অনুযায়ী আপাতত ভ্যাকসিন ট্রায়াল বাতিল করেছে গবেষণাকারী সংস্থাটি।

এই খবরের সঙ্গে মানুষের মন থেকেও আশার আলো দূর হয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে ভারতে দেশীয় প্রযুক্তিতে টিকা তৈরীর ক্ষেত্রে যে কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছিল সেই ট্রায়ালে ভালো ফল করেছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি। তবে এক্ষেত্রে মানুষের শরীরে নয়, প্রাণীদেহে ভালো কাজ করেছে বলেই জানা গেছে।আসলে মানুষের পাশাপাশি বস্তুত প্রাণীদের শরীরেও এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছিল ভারত বায়োটেক। আর তাতেই ভ্যাকসিনের সুফলের কথা জানিয়েছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা। সেইসঙ্গে মানুষের মধ্যে একটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে যে তাহলে কি এরপর ভারতের প্রাণী দেহের সঙ্গে মানুষের দেশেও এর সুফল দেখা যাবে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, কোনও নতুন ভ্যাকসিন ট্রায়ালের ক্ষেত্রে সেটি প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল অতিক্রম করলেই ক্লিনিকাল ট্রায়ালে পাঠানো হয় তাকে। এক্ষেত্রে প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অর্থ, বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা। ‘কোভ্যাক্সিন’ সেই পরীক্ষাতেই ভালো ফল করেছে বলে জানা গেছে। তাই এখন আপাতত তার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ট্রায়ালের প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। এক্ষেত্রে আগে বয়স, বর্ণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্বিশেষে বহু মানুষের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হয়। মোট তিন ধাপে এই ট্রায়াল প্রক্রিয়া করা হয় বলে জানা গেছে। যার প্রথম পর্যায়ের প্রথম পর্বের ফলই মানুষের মনে আশার আলো জাগিয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে টিকাটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে বলেই জানা গেছে।

আসলে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় অনেক প্রাণীর দেহেও এর সংক্রমণের কথা জানা যায়। প্রথমে কেবল মানুষ আক্রান্ত হলেও পরে যে প্রাণীরাও আক্রান্ত হতে পারে সেই খবরে বেশ উত্তেজনা তৈরী হয়েছিল। সেই সময়, মোট ২০টি রেসাস বাঁদরকে ৪ ভাগে ভাগ করে এই টিকার একাধিক ডোজ দেওয়া হয়। সম্প্রতি সেই ট্রায়ালই সফল হয়েছে। জানা গেছে, এই টিকা নেওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রাণীগুলির শরীরে করোনার প্রতিরোধক হিসেবে ইমিউনোগ্লোবিউলিন অ্যান্টিবডি তৈরির কথা জানা যায়। সেইসঙ্গে অ্যান্টিজেন তৈরিতে সাফল্যের পাশাপাশি এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আপাতত দেখা না যাওয়ায় আশার আলো দেখছেন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাটি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!