এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপি জামানায় ব্যাঙ্কে টাকা রাখাও কি সুরক্ষিত? বিরোধীদের কঠিন প্রশ্নের উত্তর থাকল বাজেটে!

বিজেপি জামানায় ব্যাঙ্কে টাকা রাখাও কি সুরক্ষিত? বিরোধীদের কঠিন প্রশ্নের উত্তর থাকল বাজেটে!


26 বছরের পুরনো আইন বদলে এবার পাঁচ গুণ বাড়তে চলেছে ব্যাংকের আমানত বীমা। অতীতে দুর্নীতির জেরে পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র ব্যাংকের থেকে আমানত তোলার ওপর রিজার্ভ ব্যাংকের কড়া নিষেধাজ্ঞার জেরেই সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছিলো ব্যাংকে জমা আমানতের উপর বীমার প্রসঙ্গ। অবশ্য কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল ব্যাংকের ডিপোজিট স্কিম বেড়ে হবে দ্বিগুণ। এর আগে ব্যাংক যদি ক্ষতির মুখোমুখি হত, আমানতকারীরা ফেরত পেতেন 1 লক্ষ টাকা। সূত্রের খবর, সেই টাকা বাড়িয়ে দু লক্ষ টাকা করার কথা হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর দ্বিতীয় বাজেটে ঘোষণা করলেন, ব্যাংকের ইনসিওরেন্স ডিপোজিট ইন্সুরেন্স বাড়িয়ে করা হচ্ছে পাঁচ লক্ষ টাকা।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শনিবার বাজেট পেশ করার সময় জানান, ব্যাংকের ডিপোজিট বীমা পাঁচ গুণ বাড়ানো হলো। অর্থাৎ এতদিন পর্যন্ত ব্যাংক ডিপোজিট ছিল এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এদিন বাজেটে সেই ডিপোজিটের পরিমাণ বাড়িয়ে 5 লক্ষ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। অর্থাৎ ব্যাংক লাটে উঠলে আমানতকারীর 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফেরত এখন নিশ্চিত। ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই গ্রাহক মহলে স্বস্তির নিঃশ্বাস।

প্রসঙ্গত, গতবছর পাঞ্জাব এন্ড মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ অর্থাৎ পি এম সি ব্যাঙ্ক ফেল করে। ফলে আমানতকারীরা তুমুল আন্দোলন শুরু করে তাঁদের জমা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য। আর এর পরেই প্রশ্ন ওঠে আমানতকারীদের জমা রাখা টাকা কতটা সুরক্ষিত। তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে বাজেটে এধরনের কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন, সে ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল আগেই। বাজেটের মধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আমানত বীমা বাড়ানোর লক্ষ্যে সীলমোহর দেন। এবার থেকে ব্যাংক যদি উঠেও যায়, তাহলেও গ্রাহকরা যে টাকা জমা রাখবেন তাতে 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা পেতে পারেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ আর বি আই এর গাইডলাইন অনুযায়ী দেশের সমস্ত ব্যাংকের আমানত এই ডিপোজিট ইনসিওরেন্স এন্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন অর্থাৎ ডিআইসিজিসি এর অন্তর্ভুক্ত দেশের সমস্ত ব্যাংক। তবে একেবারে প্রাথমিক স্তরের কো-অপারেটিভ সংস্থাগুলি এই নিয়মের আওতায় পড়েনা। সূত্রের খবর, 2019 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত 103 টি বাণিজ‍্যিক ব্যাংক, 1941 টি সমবায় ব্যাংক, একান্নটি গ্রামীণ ব্যাংক ও তিনটি লোকাল এরিয়া ব্যাঙ্ক ডিআইসিডিসি’র আওতায় আছে।

এর আগেও 1993 সালে গ্রাহকদের জমা রাখা অর্থের ওপর বীমা 30 হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লক্ষ টাকা করা হয়েছিল। এবার সেই বীমার অর্থ 1 লক্ষ থেকে 5 লক্ষ টাকা করা হল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে। আপাতত যেকোন আমানতকারীর যত টাকা জমা থাকুক ব্যাংকে, ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হলে তিনি পেতে পারেন পাঁচ লক্ষ টাকা। সূত্রের খবর, ব্যাংকের সেভিংস, ফিক্সড, কারেন্ট ও রেকারিং সবরকম একাউন্টের জমা অর্থই এই বীমার আওতায় এসেছে। তবে অর্থনৈতিক মহলের মতে, বীমার পরিমাণ এতটা বাড়িয়েও ব্যাংকের দুর্নীতি আটকানো যাবে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। কারণ ব্যাংক দুর্নীতি যাতে না হয় সেদিকে নজর দেওয়া বেশি জরুরী। তবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে ব্যাংকের গ্রাহক মহল যথারিতী আনন্দিত হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!