এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জীবনের শেষ সঞ্চয়ও কি এবার চলে গেল চরম ঝুঁকির পথে? বাজেটের পর দিশেহারা সাধারণ মানুষ!

জীবনের শেষ সঞ্চয়ও কি এবার চলে গেল চরম ঝুঁকির পথে? বাজেটের পর দিশেহারা সাধারণ মানুষ!

এয়ার ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল, বিপুল ক্ষতি সামাল দিতে এয়ার ইন্ডিয়াকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া ছাড়া গতি নেই সরকারের। এবার কেন্দ্রীয় বাজেটের শুরুতেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়ে দিলেন, লাভজনক সংস্থা এলআইসির অংশীদারিত্ব বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, আইপিওর মাধ্যমে অংশীদারিত্ব বিক্রি করা হবে। দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থা এলআইসি পুরোপুরি ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। এবার সরকারি কোষাগার ভরানোর লক্ষ্যে সেই লাভজনক সংস্থার অংশীদারিত্বের কিছুটা বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র।

শনিবার বাজেট পেশের শুরুতেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বীমা সংস্থা এলআইসি বিক্রির কথা ঘোষণা করেন। সম্পূর্ণ বিক্রি না করেও বেশ কিছুটা অংশ বেসরকারি হাতে ছাড়া হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই এলআইসির শেয়ার বাজার দর 5 শতাংশ বেড়ে গিয়েছে বলে খবর। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এখনো জানাননি এলআইসির অংশীদারিত্বের কত শতাংশ বেসরকারি হাতে ছাড়া হবে।

শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, আইপিওর মাধ্যমে এলআইসির শেয়ার বিক্রি করা হবে। আইপিও হলো সরকারী তহবিল সংগ্রহের জন্য তৈরী করা সংস্হা। বাজারে থাকা ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং এর মাধ্যমে বাজারে এলআইসির শেয়ার ছাড়া হবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এলআইসির শেয়ার বিক্রি করা নিয়ে জানিয়েছেন, “গত বছর আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ ছিল 3.8 শতাংশ। সেই ঘাটতির পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যেই আংশিকভাবে বেসরকারি হাতেই দিতে চলেছে সরকার।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নীকরণ এর মাত্রা স্থির হয়েছিল 1.05 লক্ষ কোটি টাকা। আগামী অর্থবর্ষে এই মাত্রা স্থির হয়েছে 2.1 লক্ষ কোটি টাকায়। ইতিমধ্যে এই খাতে টাকা তোলার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার 100 শতাংশ শেয়ার বিক্রির কথা জানানো হয়েছে। একইভাবে বেসরকারিকরণের পথে হেঁটে চলেছে শিপিং কর্পোরেশন, কন্টেনার কর্পোরেশন, বিপিসিএল এর মত সংস্থাগুলিও। এলআইসিকে নিয়েও বহুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল সরকারি মহলে। জল্পনা শেষে অবশেষে পরিষ্কার হয়ে গেল, কেন্দ্রীয় সরকারের হাত ধরে এবার এলআইসিও বেসরকারি বাজারে পা রাখতে চলেছে।

ইতিমধ্যে, সরকারের এই ঘোষণার পরেই ভারতীয় জীবন বীমা নিগমের কর্মী সংগঠনগুলি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে। তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছে। সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থবিরোধী। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে এলআইসি পরিচালন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আসবে। তবে অর্থনৈতিক মহলের একাংশের মন্তব্য, এলআইসির মত সংস্থা যদি বাজারের হাতে চলে যায় তাহলে তা জনসাধারণের বিনিয়োগ কতটা সুরক্ষিত করবে সে নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। আপাতত সম্পূর্ণ বিষয়টির ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

সাধারণ মধ্যবিত্তের কথা অনুযায়ী, LIC-তে টাকা রাখা হয় শেষ জীবনের কথা ভেবে। যখন আর যায় করার ক্ষমতা থাকবে না, তখন পেনশন-প্রভিডেন্ট ফান্ডের মত এই LIC সঞ্চয়ও অন্যতম ভরসা হয়ে ওঠে। তাই সেখানে কিছুটা কম পয়সা পেলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু তা যেন সুরক্ষিত থাকে এবং সারা জীবনের সঞ্চয় ফিরে পাওয়া যেন সুনিশ্চিত থাকে। কিন্তু, এই বেসরকারীকরণের দিকে LIC-কে ঠেলে দেওয়ায়, সারা জীবনের সঞ্চয় শেষ বয়সে এসে কোথাও গিয়ে চরম ঝুঁকির দিকে চলে গেল নাকি!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!