এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিল্লি চলোর ডাক দিতেই বেকায়দায় মমতা, দারুন ট্রিটমেন্ট শুভেন্দুর!

দিল্লি চলোর ডাক দিতেই বেকায়দায় মমতা, দারুন ট্রিটমেন্ট শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পায়ের অসুস্থতার কারণে একশো দিনের কাজে বঞ্চনার দাবিতে সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাড়িতে বসে তিনি দেখেছেন, কিভাবে তৃণমূল নেতাদের জব্দ করেছে দিল্লি পুলিশ। বিশৃঙ্খলা করলে যে তাদের রেয়াত করা হবে না, তা দিল্লি পুলিশ দেখিয়ে দিয়েছে। সামান্য পুলিশের একটা সাইরেনের কারণে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তবে আজ আবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, এবার নাকি তিনি নিজেই দিল্লি যাবেন। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধেই তিনি আবার রাজধানী সফর করবেন বলে খবর। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলতেই তাকে রীতিমত ধুয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় যুবরাজের সফরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কিছুদিন আগে দিল্লি সফর করলেও, প্রতি পদে পদে তাদের চোখে মুখে ভয় লক্ষ্য করা গিয়েছে। কৃষি ভবনের ভেতরে গিয়ে তারা বিশৃঙ্খলা করেছে। তার ফলে পুলিশ তাদের বাইরে বের করে দিতে বাধ্য হয়েছে। আর এটাতেই তৃণমূল নেতাদের গ্যাস বেলুন চুপসে গিয়েছে। তাই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দিল্লি যাওয়ার কথা বলতেই তাকে চাপের মুখে ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে তো গিয়েছিলেন কৃষি দপ্তরের ভেতরে। সেখানে গিয়েও অসভ্যতা করেছিলেন। তারপরে দৌড়টা দেখছিলেন না! আবার যান রাজঘাটে ধরনা দিতে! কি করে দৌড় করাতে হয়, আমরা জানি।”

এখন অনেকে বলতেই পারেন যে, শুভেন্দু অধিকারী তো দিল্লী পুলিশকে ব্যবহার করে তৃণমূলের কন্ঠোরোধ করার হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু না, দিল্লি পুলিশ আর যাই হোক, বাংলার পুলিশের মত নয়। তাদের মেরুদন্ড আছে। সেখানে যদি অসভ্যতা করা হয়, তাহলে তারা কি করে জব্দ করতে হয়, তা খুব ভালো মতো জানে। যেটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার বাহিনী কিছু দিন আগেই টের পেয়েছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আবার ভাবেন, দিল্লিতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবেন, তাহলে কি করে টাইট দিতে হয়, তা দিল্লী পুলিশের জানা আছে। আর সেটাই শুভেন্দু অধিকারী স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থন করে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গে দিল্লী পুলিশের আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। দিল্লি পুলিশ যদি প্রতিহিংসা পরায়নই হত, তাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদরা দিল্লিতে রাজঘাটে অতক্ষণ বসে থাকতে পারতেন না। কৃষি দপ্তরের ভেতরেও যেতে পারতেন না। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার মত সামান্য অনুমতি বিরোধী দলকে দেওয়া হয় না, সেটা দিল্লিতে দেওয়া হয়। তাই ন্যায্য দাবি নিয়ে যদি দিল্লিতে যান তৃণমূল নেত্রী, তাহলে তাকে অবশ্যই স্বাগত। কিন্তু সেখানে গিয়ে যদি তিনি গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেন, তাহলে তা বরদাস্ত করা হবে না। সামান্য পুলিশ দেখে যে নেতাদের হাঁটু কাঁপে, তারা দিল্লিতে গিয়ে নাকি আবার আন্দোলন করবেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতে আন্দোলনের প্রতীক থাকলেও, এখন তিনি আন্দোলন করা ভুলে গিয়েছেন। এখন তিনি ক্ষমতা সর্বস্ব হয়ে গিয়েছেন। তাই মুখে বড় বড় কথা বললেও, বাস্তবে দিল্লির মাটিতে প্রতিবাদ করার মুরোদ হবে না তৃণমূল নেতাদের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সর্বভারতীয় নেত্রী হওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই কারণেই তিনি আবার দিল্লী যাবেন বলে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু কবে দিল্লি যাবেন, তা সকলেরই অজানা। কারণ তৃণমূল নেত্রীও খুব ভালো মতো জানেন, দিল্লিতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার ভাবমূর্তি যেমন প্রশ্নের মুখে পড়বে, ঠিক তেমনই দিল্লি পুলিশও তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে। আর তার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী যে ট্রিটমেন্ট দিলেন, তাতে আরও বেকায়দায় পড়ে গেলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!