এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চরম বিপদে যুবরাজ? ভাইপোকে নিয়ে প্রবল চিন্তায় মমতা! সুকান্তর বক্তব্যে তুঙ্গে জল্পনা!

চরম বিপদে যুবরাজ? ভাইপোকে নিয়ে প্রবল চিন্তায় মমতা! সুকান্তর বক্তব্যে তুঙ্গে জল্পনা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে সব জায়গাতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূত দেখতে পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকটি সভা মঞ্চে হোক বা সরকারি মঞ্চে তিনি দাবি করছেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে নাকি তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল সেই এজেন্সির কথা। এবার তিনি দাবি করলেন, শিল্পপতিদের নাকি এজেন্সি গলা টিপে ধরতে চাইছে। অর্থাৎ বাংলায় শিল্প হচ্ছে না বলে যে দাবি করছে বিরোধীরা, তার পেছনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তা দায়ী, সেটাই তুলে ধরতে চাইলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই ব্যাপারে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমন ভাবে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, যা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকে বলছেন, তাহলে কি সময় ঘনিয়ে এসেছে ভাইপোর? সেই কারণেই কি এজেন্সির কথা বলে ভয় কাটানোর চেষ্টা করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর! দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন বিজেপির ওপর? এইরকম নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, বুধবার শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে এজেন্সির অতি সক্রিয়তা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই ব্যাপারেই প্রশ্ন করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন, তার ভাইপোর গলাটা এজেন্সি টিপে ধরতে আসছে। সেই কারণেই তিনি ভয়ে এই সমস্ত কথা বলছেন। তবে টালির চালে থাকতে থাকতে কেউ যদি শিল্পপতি হয়ে যান, তাহলে তো এজেন্সি গলা টিপে ধরবেই। দেশে তো অনেক বড় বড় মাপের শিল্পপতি রয়েছেন। তাদেরকে তো কেউ ধরে না। যারা চুরি করে, যারা অসৎ ভাবে ব্যবসা করে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

একাংশ বলছেন, ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অনেকে জেলের মধ্যে রয়েছেন। ধীরে ধীরে মূল মাথার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিরোধীদের প্রশ্ন, ভাইপো কবে জেলে যাবে? তাই এই পরিস্থিতিতে সেই ভাইপোর কথা বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয় আরও বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যার ফলে একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি যারা ভাইপোর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন, তাদের সুদিন শুধু সময়ের অপেক্ষা! খুব তাড়াতাড়ি কি সুখবর পাবেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ?

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ভাইপো আজ না হোক কাল, জেলে তাকে যেতেই হবে। যে দুর্নীতি তিনি করেছেন, তাতে তাকে বাইরে রাখবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার ফল তৃণমূলকে পেতেই হবে। তাই নিজেদের দিকে বিপদে এগিয়ে আসছে বুঝেই এখন শিল্পপতিদের নিয়ে বলতে গিয়ে এজেন্সির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এসব করে তিনি ছাড় পাবেন না। দেশের আইন পশ্চিমবঙ্গের চোরেদের সঠিক শিক্ষা দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো নাটক করতে পারেন। এক্ষেত্রেও তিনি নাটকটা ভালো করেই করেছেন। প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি সবাইকে বিরক্ত করছে। কিন্তু দেশের কোনো শিল্পপতি এই এজেন্সির জন্য বিড়ম্বনায় পড়েছেন, এমন খবর নেই। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের অনেক নেতারা এত দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছেন যে, তাদের পেছনে এজেন্সির একের পর এক করা পদক্ষেপ তৃণমূল নেত্রীকে কার্যত দিকভ্রষ্ট করে দিয়েছে।‌ তাই সব জায়গায় এজেন্সির ভূত দেখতে শুরু করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে এসব বলে দুর্নীতির বিষয়টিকে আড়াল করতে পারবেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। খুব তাড়াতাড়ি তার দিকে বিপদ ঘনিয়ে আসছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!