এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বুকে পা দিয়ে রাজনীতির হুঙ্কার এখন অতীত! বিজেপির শক্তি কমছে মানলেন খোদ দিলীপ! তীব্র জল্পনা

বুকে পা দিয়ে রাজনীতির হুঙ্কার এখন অতীত! বিজেপির শক্তি কমছে মানলেন খোদ দিলীপ! তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির সাংগঠনিক রাজনৈতিক জটিলতা ক্রমশই বাড়ছে। দলের মধ্যে ক্রমাগত বাড়ছে মতান্তর, মতবিরোধের মতো ঘটনা আর এরফলে স্থানে স্থানে ঘটছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। যার ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছে দলের ভিত্তি। এতদিন এইসব অভিযোগ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের মুখে শোনা গেলেও – এবার দলের এই দুর্বলতার বিষয়টিকে একপ্রকার স্বীকার করেই নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

কিছু দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে নিজের একক প্রচেষ্টায় দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে পারবেন বলে ক্ষুরধার বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। এমনকি সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি নাকি বুকে পা দিয়ে রাজনীতি করতে এসেছেন! যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছিল রাজনীতির অঙ্গনে। কিন্তু আজ অল্প কিছুদিন পরেই রাজ্য সভাপতির কণ্ঠে শোনা গেল কিছটা হতাশাগ্রস্থ ভিন্ন সুর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, আজ সকালে মালদহে অনুষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক সভার মঞ্চে তিনি দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা নিজমুখেই স্বীকার করে নিলেন। সেই সঙ্গে স্বীকার করলেন দলের সাংগঠনিক শক্তিক্ষয়ের কথাও। তবে, দলের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ার জন্য তিনি মূলত দায়ী করলেন করোনা পরিস্থিতির ফলে রাজ্যে ও দেশে চলা লকডাউনকে। তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলেই বিজেপির রাজ্য নেতারা রাজ্যের নানা স্থানে সহজে পৌঁছাতে পারছেন না।

দিলীপবাবু আরও জানিয়েছেন, নেতাদের সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগের অভাবের ফলে জেলার বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। তবে তাঁদের আশ্বস্ত করে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি নেতা-কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করতে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত স্থানে বিজেপি সেভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি, দলের এই ব্যর্থতার কোথাও স্বীকার করে নিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, অনেক সংখ্যালঘু জনগণ বিজেপিকে পছন্দ করলেও, তাঁদের মনে থাকা বিজেপি ভিতি এখনো দূর করা সম্ভব হয় নি।

দিলীপবাবুর মতে, সেকারণেই তাদের বিজেপিতে সামিল করা তেমন একটা সফল হচ্ছে না। তবে, বিজেপির দুর্বল হয়ে পড়ার পিছনে ‘শাসকদলের পেশি শক্তিকে’ও দায়ী করতে ভোলেননি তিনি। প্রসঙ্গত, আজ সকালে জনসংযোগ বাড়াতে মালদার ইংরেজবাজারে একটি চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তাঁর এই চা চক্রে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেছেন। কিন্তু, বিজেপির প্রধান সেনাপতির মুখেই দলের সাংগঠনিক ‘দুর্বলতার’ কথা রাজ্য-রাজনীতিতে যে নতুন ঝড় তুলে দিল সেকথা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!