এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দেশবিরোধী মমতা, শুভেন্দুর বক্তব্যে নয়া চাপে তৃনমূল! অ্যাটাক বিজেপির!

দেশবিরোধী মমতা, শুভেন্দুর বক্তব্যে নয়া চাপে তৃনমূল! অ্যাটাক বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দেশের উন্নতি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ্য করতে পারেন না, তা আবার প্রমাণ হয়ে গেল। অসম্ভব সুন্দর খেলার পরেও বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছে ভারতবর্ষের। প্রধানমন্ত্রী প্লেয়ারদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। আর সেই সময় আজ নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নোংরা রাজনীতি বলে দাবি করছেন একাংশ। কেন খেলোয়াড়দের অনুশীলনের পোশাকের রঙ গেরুয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আর তার এই ধরনের মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমতো ধুয়ে দিলেন বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে দেশবিরোধী বলে কটাক্ষ করলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ছিঃ ছিঃ, এটা দেশবিরোধী মন্তব্য। উনি রাষ্ট্র বিরোধী কথা বলেছেন।” সত্যিই তো তাই! একজন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, যে প্রদেশ ভারতবর্ষের অধীনে, সেই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কেন দেশ যখন একটা বিশ্বকাপ হাতছাড়া করেছে, তখন এত গৌন প্রশ্ন তুলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তিনি কি সব ব্যাপারে রাজনীতি ছাড়া বাঁচতে পারেন না? যে প্রধানমন্ত্রীকে এত রুচিহীন ভাষায় তিনি আক্রমণ করছেন, সেই প্রধানমন্ত্রী কিন্তু খেলোয়াড়রা যাতে হতাশ না হন, তার জন্য তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। ড্রেসিংরুমে তাদের বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন, যাতে তারা ভেঙে না পড়েন। আর এটাই তো একজন দেশনেতার কর্তব্য হওয়া উচিত। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন সব কথা বললেন, যা দেশপ্রেমীদের মনে যথেষ্ট আঘাত দিয়েছে।

বিজেপির দাবি, ব্যক্তিস্বার্থ পূরণে সবসময় মেতে থাকেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্বকাপে যখন দেশ পরাজিত হয়েছে, তখন কোথায় একত্রিত হয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত, ভালো পরামর্শ দেওয়া উচিত, কিন্তু তা না করে তিনি দেশের সরকারের খুঁত ধরতে শুরু করেছেন। কেন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে, সেই নিয়ে তার আপত্তি। অথচ খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার মত ক্ষমতা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নেই। আর এতেই তার রুচিবোধ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে যে, দেশ চুলোয় গেলে যেতে পারে। কিন্তু নিজের প্রচারে সবথেকে বেশি খুশি হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি এই ধরনের কথা বলে দেশকে অপমান করছেন। তবে প্রকৃত দেশপ্রেমীরা এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন এবং বাংলার মানুষকে এই দেশবিরোধী মুখ্যমন্ত্রীর থেকে সচেতন থাকতে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দেশনেত্রী হয়ে উঠতে চাইতেন, তাহলে তিনি এত নিম্নমানের কথা বলতেন না। দেশের খেলোয়াড়রা যখন হতাশার মধ্যে আছেন, তখন তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। কোনো রং না দেখে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলতেন, খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ানোর কথা। কিন্তু তা না করে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে নিজের দেশবিরোধী মনোভাবকে গোটা বাংলা তো বটেই, গোটা দেশের সামনে আরও একবার নিয়ে চলে এলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যার ফলে তার নিজের পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কারণে বাংলার মানুষের মান সম্মানও প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্যের পরেও যদি তার বিরুদ্ধে বাংলা এবং দেশের মানুষ সোচ্চার না হয়, তাহলে তিনি এভাবেই লাগাতার দেশকে আক্রমণ করেই যাবেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা উচিত দেশপ্রেমিকদের। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!