প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গেছে। শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর থেকে সেই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মে মাসের আগেই সাত সাংসদ তৃণমূলে যোগদান করবে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর তার এই মন্তব্য এখন যে যথেষ্ট আলোড়ন ফেলে দেবে রাজ্য রাজনীতিতে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, এদিন সকাল 11টায় স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে হাবরার চোংদা মোড় থেকে হাবরা স্টেশন পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন হাবরার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর সেই যাত্রা শেষে স্টেশন রোডের মূর্তিতে মাল্যদানের পর বক্তব্য রাখতে দেখা যায় তাকে। এদিকে বক্তব্য রাখার পরেই মে মাসের আগেই 7 জন সাংসদ তৃণমূলে যোগদান করবেন বলে সাংবাদিকদের কাছে জানিয়ে দেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু।

স্বাভাবিক ভাবেই যখন বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন, তখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই ধরনের মন্তব্য তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে যথেষ্ট উজ্জীবিত হওয়ার কারণ, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, আসলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই মন্তব্য করে দলের ভাঙ্গন আটকানোর চেষ্টা করলেন। কেননা যেভাবে তৃণমূলের বিদ্রোহ বাড়তে শুরু হয়েছে, তাতে আগামী দিনে অনেকেই দলবদল করতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে দলের কেউ যাতে ভেঙে না পড়ে, তার জন্যই সাত সাংসদ আগামী মে মাসের আগে তাদের দলে যোগদান করবেন বলে দাবি করতে দেখা গেল রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে বলে মনে করছেন একাংশ।

এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “সাত জন সাংসদ মে মাসের আগে তৃণমূলে যোগদান করবেন বলে লাইন দিয়ে আছেন। যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাচ্ছেন, তারাও তৃণমূলে আসার জন্য আগামীদিন লাইন দেবেন। তবে তখন তাদের নেওয়া হবে কিনা, সেটা পরের কথা।” এদিকে শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কেও মন্তব্য করতে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তিনি বলেন, “যারা তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছে, তারা সবাই সারদার দুর্নীতিতে যুক্ত। আসলে তারা ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লিখিয়েছেন। আগামী চার মাস পর শুভেন্দু বিজেপিতে থাকবে কিনা, সেটা ঠিক নেই।”

স্বাভাবিকভাবেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বর্তমান সময়ে এই ধরনের মন্তব্য যে যথেষ্ট শোরগোল ফেলে দিল রাজ্য রাজনীতিতে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তবে যথেষ্ট প্রমাণ নথি নিয়ে এই কথা বললেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নাকি চমক দেওয়ার জন্য তার মুখ থেকে শোনা গেল এইরকম কথা! এখন সেটাই জল্পনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, আগামী দিনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই মন্তব্যের সঙ্গে বাস্তব কতটা মেলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।