এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ধর্না করে বিপদ বাড়ালেন মমতা, বড় সুযোগ পেয়ে গেল বিজেপি! উত্তাল রাজ্য!

ধর্না করে বিপদ বাড়ালেন মমতা, বড় সুযোগ পেয়ে গেল বিজেপি! উত্তাল রাজ্য!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার স্বপ্ন দেখছেন। স্বপ্ন দেখছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তার দল নাকি কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রক ভূমিকায় থাকবে। কিন্তু রাজ্যের মাটিতে তার একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত এবং ভুল কাজ কর্মের ফলে বড় সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে সেই বিজেপি। এখন এই সমস্ত কাজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবেই করছেন, নাকি বিন্দুমাত্র রাজনৈতিক বোধ তার মধ্যে নেই! সেই সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে। তবে একটি অংশ বলছেন যে, রাজনৈতিক বোধ এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকবে না, এটা বলাটাই বৃথা। তার সবকিছুই রয়েছে। কিন্তু তিনি জেনেও অযথা কেন্দ্রের বিরোধিতা করছেন।

তবে তিনি বুঝতে পারেননি, এইসব করতে গিয়ে বিজেপি বাড়তি সুবিধে পেয়ে যাবে। তাই রাজনৈতিক ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক সিদ্ধান্ত যে বুমেরাং হয়ে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নাকি রাজ্যকে বঞ্চনা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা যেদিন থেকে শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী রেড রোডে 48 ঘন্টার ধরনায় বসেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই রাজ্যের প্রশাসন এবং এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন যে, যখন মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, তখন কোনো মাইকিং করা যাবে না, কোনো কর্মসূচি নেওয়া যাবে না। তাহলে কি তিনি তার দলের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি করে নিজেই আইন ভাঙছেন না! কেন সেইখানে পুলিশের কোনো বাধা নেই! মুখ্যমন্ত্রী বলেই কি তিনি আইনের রক্ষক হিসেবে প্রতি মুহূর্তে আইনকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন! তাই স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীরা যখন এমনি সময়েই মিটিং, মিছিল করতে পারে না, তখন এই মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় তাদের আরও বেশি করে সেই দিকে আটকানো হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যখন নিজেই আইন ভাঙলেন এই মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়, তখন পাল্টা সুযোগ পেয়ে গেল বিজেপি।

বলা বাহুল্য, এমনিতেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে বিষয় নিয়ে ধর্নায় বসেছেন, তা একেবারেই অমূলক একটা বিষয়। বারবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই রাজ্য সরকারকে এতদিন যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তারা তার হিসাব দেয়নি। তাই হিসাব দিলেই তাদের আবার টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু সেই হিসাব না দিয়ে তারা যে চুরি করেছেন, এই রাজ্যে যে দুর্নীতি হয়েছে কেন্দ্রের টাকায়, তা বারবার করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। আর সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার ধর্নায় বসেছেন যে, রাজ্যকে নাকি বঞ্চনা করা হচ্ছে। কিন্তু বেছে বেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করে কেন মুখ্যমন্ত্রী তার দলকে নিয়ে এইভাবে রেড রোডের মতো জায়গায় বসলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাল্টা ময়দানে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

তার স্পষ্ট বার্তা যে, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই যখন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হয়ে আইন ভাঙছেন, তখন বিজেপিও পাল্টা এবার ধর্নায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে‌। তাই তখন যেন এই রাজ্য সরকার আবার তাদেরকে বাধা দান না করে। আর সত্যিই তো তাই। মুখ্যমন্ত্রী বলে কি তিনি মাথা কিনে নিয়েছেন নাকি? যা খুশি তাই করতে পারবেন, আর চুপচাপ বসে সহ্য করবে বিজেপি! এটা তো বাম এবং কংগ্রেস দল নয় যে, তার সঙ্গে সেটিং করে রাজনীতি করবে। বিজেপি চোখে চোখ রেখে লড়াই করছে। তাই মিথ্যে কথা বলে দিনের পর দিন নাটক করা এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে চ্যালেঞ্জ জানানো এই মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলে দিতে এবার পাল্টা রাস্তায় নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, নিজের পায়ে কি করে কুড়ুল মারতে হয়, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই হয়ত শেখা উচিত। তিনি ভাবতেই পারেননি যে, বিজেপি এই বিষয়টাকে ইস্যু করে পাল্টা এই সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে। কিন্তু বড় বড় গলায় তিনি বলবেন যে, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় কেউ মিটিং মিছিল করতে পারবেন না, মাইক লাগাতে পারবেন না। আর তিনি প্রকাশ্য রাস্তায় বসে বড় বড় গলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেবেন, দুটো তো একসাথে হতে পারে না। এই রাজ্যে আইন যদি থাকে, তাহলে সেই আইন সকলের জন্য সমান হওয়া উচিত। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী যখন মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এইভাবে আইন ভাঙলেন, তখন এমনিতেও যদি কেস খেতে হয়, তাহলে বিজেপি সেই মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে হেটেই কেস খেতে রাজি। কিন্তু এই লড়াইয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ফ্যাসিস্ট মনোভাবের কাছে তারা মাথা নত করতে রাজি নয়। তাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বিজেপির কৌশলে চরম ফাপড়ে পড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!