গণতন্ত্র ধ্বংসের শেষ পথে তৃণমূল, কমিশনের দরজায় পৌঁছে গেলেন শুভেন্দু! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 2, 2024February 2, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে তো এমনিতেই স্থানীয় ভোটগুলো হয় না বললেই চলে। প্রত্যেকটা জায়গায় গায়ের জোরে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে এই সরকার। তার মধ্যে এমন জায়গায় এরা পরিস্থিতিকে নিয়ে গিয়েছে যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে হেরে যাওয়ার ভয়ে ডায়মন্ড হারবার এলাকায় ভাইপোকে জেতানোর জন্য প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এক ভয়ংকর কাজ করেছে এই তৃণমূল। অভিযোগ, বেছে বেছে বিজেপির যারা পদাধিকারী, যারা বিজেপির সমর্থক, তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে সুকৌশলে বাদ দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছুদিন আগেই এই বিষয়টি সকলের নজরে এনেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একবার ভেবে দেখুন, কতটা ঔদ্ধত্য এবং কতটা গণতন্ত্র ধ্বংস মূলক মনোভাব থাকলে এই কাজ করা যায়! যেটা তৃণমূল এই রাজ্যের মাটিতে করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এবার সেখানেও তারা বিরোধী দলনেতার হাতে কঠিন ভাবে জব্দ হলেন। আজ একেবারে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে এসে এই বিষয়গুলি তুলে ধরে যাদের নাম বাদ দিয়ে গিয়েছে, তাদেরকে সাথে নিয়ে এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট মনোভাবের কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে গোটা বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হন শুভেন্দু অধিকারী। অবশ্য হবেন নাই বা কেন! এমনিতেই তো এই রাজ্য সরকার সব সময় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে। সমস্ত প্রতিবাদী মানুষ, যারা গণতন্ত্রপ্রেমী, তাদের কণ্ঠরোধ করে ভোটকে প্রহসনে পরিণত করে। কিন্তু লোকসভাতেও যদি মানুষ তাদের মতামত জানাতে না পারে, তাহলে নির্বাচন করে লাভ কি? তাই শুভেন্দু অধিকারী যখন ধরে ফেলতে পেরেছেন এই সরকারের চালাকি, যখন তিনি ধরে ফেলেছেন যে, শুধুমাত্র ভাইপোকে জেতানোর জন্য প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভোটার তালিকা থেকে বেছে বেছে বিজেপি নেতা কর্মীদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, তখন তিনি তার প্রতিবাদ জানানোর রাস্তা বেছে নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল যদি ভেবে থাকেন যে, সব করে তারা লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হবেন, তাহলে তারা ভুল করছেন। মানুষ যে আজকে তৃণমূলের সাথে নেই, এটা আজকে জলের মতো পরিষ্কার। তাই শেষ পর্যায়ে লোকসভা নির্বাচনের সময় সন্ত্রাস করা যাবে না, এটা বুঝেই এই রাজ্যে শাসকদল পেছনের দরজা দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এরা কি ভয়ানক হতে পারে! কি মারাত্মক হতে পারে, সেটা আবার সকলের সামনে তুলে ধরলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন অনেক বিরোধী দলনেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখেছেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর কাছে তিনি যতই মুখ্যমন্ত্রী হন না কেন, যতই প্রভাবশালী হোন না কেন, তিনি জব্দ হচ্ছেন। বুঝতে পারছেন যে, ঠ্যালা কাকে বলে। খুব চালাকি করে ভেবেছিলেন যে, নিজের দলকে জেতানোর জন্য লোকসভায় সন্ত্রাস করা যাবে না জন্য ভোটার তালিকায় কারচুপি করে সব ভোট নিজেদের দখলে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু সেই খবর চলে গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। তাই ভোটার তালিকায় যে ভয়াবহ কারচুপি এই রাজ্যের শাসক দল করেছে, তার তথ্য তুলে ধরে তৃণমূলকে একেবারে নাস্তানাবুদ করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই সন্ত্রাস করা তো দূরের কথা, ভোটার তালিকায় কারচুপি করার উদ্দেশ্য সফল হলো না ফ্যাসিস্ট তৃণমূলের পক্ষে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -