এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের “দিদিকে বলো” কর্মসূচির পথেই বিজেপিকে পা বাড়াতে অনুরোধ, ক্ষেপে আগুন শুভেন্দু! সরগরম বিধানসভা!

তৃণমূলের “দিদিকে বলো” কর্মসূচির পথেই বিজেপিকে পা বাড়াতে অনুরোধ, ক্ষেপে আগুন শুভেন্দু! সরগরম বিধানসভা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  মঙ্গলবারও ব্যাপক উত্তপ্ত হতে দেখা গেল রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনকে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হিসেবে তার বক্তব্য দিতে ওঠার সাথে সাথেই তাকে কটাক্ষ করেন শাসকদলের বিধায়করা। যেখানে দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে প্রত্যেকটি সময় সরব হওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে তার বাবা শিশির অধিকারীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। মূলত, তৃণমূলের পক্ষ থেকে অনেক দিন আগেই করা হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্প।

যে প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে সাধারন মানুষ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাদের অভিযোগ জানাতে পারতেন। কিন্তু এবার সেই “দিদিকে বলো” প্রকল্পের কায়দাতেই শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে “বাবাকে বলো” বলে কটাক্ষ করতে দেখা গেল হেভিওয়েট এই তৃণমূল বিধায়ককে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিধানসভায় তার পিতার কথা তুলে ধরে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে পাল্টা সরব হতে দেখা গেল বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যাকে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তপ্ত থাকল রাজ্য বিধানসভা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। আর তারপরেই দলত্যাগ বিরোধী আইন রাজ্যে কার্যকর করতে উঠে পড়ে লেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুভেন্দুবাবুর এই উদ্যোগের পাল্টা হিসেবে তাঁর পিতা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন, কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও তার সাংসদ পদ খারিজ হয়নি কেন, তা নিয়ে পাল্টা সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে শুভেন্দুবাবু নিজের ঘর থেকে পরিবর্তন শুরু করুন বলেও কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। আর এবার সেই শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হিসেবে বিধানসভায় তার বক্তব্য পেশ করতে উঠতে “বাবাকে বলো” বলে কটাক্ষ করে রীতিমতো শোরগোল তুলে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা ইদানিং দলত্যাগ নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। বলছেন, আদালতে যাব। আমরা লোকসভা ভোটে 18 টি আসন হারিয়ে দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়েছিলাম। কন্যাশ্রী না পেলে দিদিকে বলো, রূপশ্রী না পেলে দিদিকে বলো। আমি বলি দলত্যাগ নিয়ে বিরোধী দলনেতা “বাবাকে বলো” কর্মসূচি নিন।” অর্থাৎ সরাসরি শিশিরবাবুর কথা তুলে ধরে শুভেন্দু অধিকারী নিজের ঘর থেকে পরিবর্তন করুন বলে পাল্টা টিপ্পনী কেটে শুভেন্দুবাবুকে চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূল বিধায়ক। আর তার বাবার কথা তুলে ধরার সাথে সাথেই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধী দলনেতা। বাইরে এসে সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে এই ব্যাপারে গোটা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ককে।

এদিন এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নৈহাটির বিধায়ক আমার বাপ তুলেছেন। এই অসংসদীয় শব্দের জন্য আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু অধ্যক্ষের ভূমিকা নিন্দনীয়। এই রকম দলদাস অধ্যক্ষ দেখিনি।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী যখন রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে উঠে পড়ে লেগেছেন, তখন থেকেই তার পরিবারের কথা তুলে ধরে তাকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে শুভেন্দুবাবুর বাবা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ থাকা সত্ত্বেও দল পরিবর্তন করার পরেও তিনি সাংসদ পদ ছাড়েননি।

স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দুবাবু আগে নিজের পরিবারের দিকে নজর দিন বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর পরিস্থিতিতে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের বাবার কথা তুলে ধরে “বাবাকে বলো” কর্মসূচি শুভেন্দুবাবুর রূপায়িত করা উচিত বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন পার্থ ভৌমিক। আর তার সাথে সাথেই রীতিমতো ওয়াকআউট করে বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিক বৈঠক থেকে পার্থবাবুকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ বিধানসভার অন্দরে যে আগামী দিনগুলোতেও শাসক-বিরোধী তরজা এবং উত্তপ্ত পরিস্থিতি ধারাবাহিক পর্যায়ে চলবে, তা এই ঘটনা থেকে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!