এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাড়ছে বিজেপি – দলের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই কড়া নির্দেশিকা দিলীপ ঘোষের

বাড়ছে বিজেপি – দলের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই কড়া নির্দেশিকা দিলীপ ঘোষের


পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের পালে হাওয়া লেগেছে। আর লোকসভা নির্বাচনে তা তো কার্যত গেরুয়া-ঝড়ে পরিণত হয়েছে। আর তারপর থেকেই, বিভিন্ন দল থেকে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোয় রীতিমত লাইন লেগে গেছে। আর এই দলবদলের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু, বিজেপিতে যোগ দিলেও বহু তৃণমূল নেতা-কর্মী ‘গেরুয়া শিবিরে যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না’ অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূলে ফিরে গেছেন।

এর পাশাপাশিই, মুকুল রায়কেও এই দলবদলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি নিষেধ চলার কথা বলা হয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতির অনুমতি না নিয়ে নাকি অন্য দল থেকে নেতা কর্মীদের আর বিজেপিতে যোগদান করানো যাবে না। ফলে, লোকসভার ফলাফল বেরোনোর পরেই যেভাবে বিজেপিতে যোগদান চলছিল, তা এখন রীতিমত স্তিমিত। এদিকে, ‘আগে বিজেপি মনোভাবাপন্ন’ হতে হবে, তবে বিজেপিতে যোগদান করা যাবে’ অথবা ‘বিজেপিতে যোগ দিলেই পদ পাওয়া যাবে না’ – এই ধরনের মন্তব্যে ‘আদি বিজেপি’ নেতা-কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট চেয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে।

এমনকি, দলে দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের দুই পৃথক গোষ্ঠীর কথাও শোনা গেছে! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানিয়েছেন ‘মুকুল রায়ের লোক’ হওয়ার ‘অপরাধে’ বহু কর্মীকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে! ফলে ক্রমশ দানা বাঁধছিল ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের’ কালো মেঘ। আর সেসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার অন্য দল থেকে আগতদের যোগ্য সম্মান ও সকলকে নিয়ে এগোনোর বার্তা দিয়ে চমকে দিলেন দিলীপ ঘোষ। এখন থেকেই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে নিয়ে যেতে চায় গেরুয়া শিবির – আর সেই উপলক্ষ্যেই গতকাল সকাল থেকে, প্রস্তুতি বৈঠক চলছে কলকাতার আইসিসিআরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখানেই, দল নিয়ে কিছু বিশেষ নির্দেশিকা ঘোষণা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দলে জাতে নতুন ও পুরনোদের মধ্যে কোনরকম দ্বন্দ্ব না কাজ করে সে বিষয়ে প্রত্যেককে সচেতন করেছেন দিলীপ ঘোষ। এই বৈঠকে দিলীপবাবু ছাড়াও, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেনন, মুকুল রায় সহ অন‍্যান‍্যরা অংশ নিয়েছেন। এই বৈঠক থেকে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘বিভিন্ন পার্টি থেকে অনেক অভিজ্ঞ রাজনীতিকরা বিজেপিতে আসছেন। তাঁদের যোগ্য সম্মান দিয়ে কাজে লাগানো হবে। নতুন পুরনো সকলকে নিয়ে এগোতে হবে।’

বিজেপিতে যাতে নতুন সদস্য পুরনো সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় থাকে সে ব্যাপারে বার্তা দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এ রাজ্যে বিজেপি দল বাড়ছে এবং তার জন্য দলের প্রত্যেকের মধ্যে সমন্বয় থাকাটা ভীষণ জরুরি বলে মনে করছেন বিজেপি সভাপতি। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন ‘বেশি লোক নিয়ে কাজ করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। মানসিকতাতে পরিবর্তন আনতে হবে। মন বড় করতে হবে।’ প্রসঙ্গত, 2019 এর লোকসভা ভোটের পর বিজেপি সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গে। এখনো পর্যন্ত বাংলা ভারতের শীর্ষ স্থানে রয়েছে নতুন সদস্য সংখ্যার পরিপেক্ষিতে।

এ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সদস্য সংখ্যা 90 লক্ষ বলে জানা গেছে। বিজেপির লক্ষ্য এই সংখ্যাকে 1 কোটিতে পৌঁছানোর। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, সদস্য সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বিজেপিতে প্রবল ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নেতৃত্বকে যথেষ্ট চাপে ফেলেছে। তাই বিজেপির সভাপতির বক্তব্যে পরিষ্কার একটাই নির্দেশ, একতা বজায় রেখে চলা। ফলে, এতদিন দলে যাঁরা নিজেদের ‘আদি বিজেপি’ বা কোনো একটি বিশেষ গোষ্ঠীর লোক বলে দাবি করে, নবাগতদের আটকানোর চেষ্টা করছিলেন – তাঁদের প্রতি সরকারিভাবে কড়া বার্তা দেওয়া হল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!