দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এবার মাঠে একযোগে তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস কলকাতা রাজ্য January 18, 2020 সংশোধনী আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যে দ্বৈরথ চরমে উঠেছে। মাঝেমধ্যেই এই ব্যাপারে বিতর্কিত মন্তব্য করে শোরগোল তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা নিয়ে বিরোধী দলগুলির ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে দেন দীলিপবাবু। যেখানে তিনি বলেন, “যাদের মা বাপের ঠিক নেই, তারাই কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতা করছে।” কিন্তু রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকলেও, কেন ব্যক্তিগতভাবে কারো পিতৃদেব বা মাতৃদেব সম্পর্কে এহেন আক্রমণাত্মক মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী 3-4 মাস সময় দেবেন, তার মধ্যে সকলেই নথি দিয়ে দিন। খবরদার দিদিমণির চক্করে পড়বেন না। জিএসটির সময় যে ব্যবসায়ীরা প্রথমে তা নেননি, পরে সমস্যায় পড়েছেন।” পাশাপাশি তাকে কেউ বোম মারলে, তিনিও বোম মারবেন বলে জানিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে আরও চরম বিতর্ক ছড়ায়। আর একটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের প্রদেশের রাজ্য সভাপতি হয়ে দিলীপ ঘোষের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেস বিজেপির দৃষ্টিকোণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কোনো রাজনৈতিক নেতা যখন নোংরামি রাস্তায় নেমে আসেন, তখন তার কথার প্রতিক্রিয়া দিতেও ঘৃণা হয়। এইসব অশিক্ষিত, বর্বর, রুচীহীনদের কাজে রাজনীতির পরিবেশ প্রতিদিন বিষিয়ে উঠছে। তবে যেমন দল, তার তেমন নেতা। মানুষ বুঝে নেবে।” একইভাবে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের কটাক্ষ করে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেন, “দিলীপ ঘোষ বাংলার কলঙ্ক। ঔদ্ধত্যের সীমা ছাড়াচ্ছেন। জবাব বাংলার মানুষ দেবেন।” অন্যদিকে এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “এই ধরনের প্রতিক্রিয়া দিতে রুচিতে বাধে। দীলিপবাবুর দল দেশজুড়ে যে লুম্পেন রাজনীতির আমদানি করেছে, তিনি তো তারই বাহক। মানুষের কাছেই ওরা জবাব পাবেন।” বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতিতে কিছুটা হলেও শালীনতা রাখা দরকার। কিন্তু দীলিপবাবু যেভাবে লাগাতার বিরোধীদলকে কটাক্ষ করে অশালীন মন্তব্য করে চলেছেন, তাতে বিরোধী দলগুলো তাদের হাতে নতুন করে বিজেপি বিরোধী অস্ত্র পেয়ে যাচ্ছে। তাই সেদিক থেকে দিলীপ ঘোষ বিরোধীদের এই কটাক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে এখন সমঝে মন্তব্য করেন কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -