এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুর ভোট নিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে তৃণমূল? তথ্য বলছে সেকথাই !

পুর ভোট নিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে তৃণমূল? তথ্য বলছে সেকথাই !


 

এতদিন পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে চিন্তা ছিল তৃণমূলের। আর এবার পৌরসভা নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই তার চিন্তা বৃদ্ধি করল রাজ্যের শাসকদলের। যার ফলে পৌরসভার ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকায় জোর ধাক্কা খেল, জলপাইগুড়ি পৌরসভার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গেছে, এই খসড়া তালিকা প্রকাশের পর বিজয়ী তৃণমূলের 15 জন কাউন্সিলরের মধ্যে নিজের ওয়ার্ড থেকে পাঁচ কাউন্সিলর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। যাদের মধ্যে রয়েছেন, এই জলপাইগুড়ি পৌরসভার তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল, চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের মত নেতৃত্বরা।

প্রসঙ্গত, এই সৈকত চট্টোপাধ্যায় 2015 সালের পৌরসভা নির্বাচনে 11 নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে ভোটে লড়েছিলেন এবং জয়লাভ করেছিলেন। তারপর ক্রমশ সেই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু এবার খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় যে, সেই 11 নম্বর ওয়ার্ড তপশিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ফলে এবার সেই ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না সৈকতবাবু। যার ফলে এখন চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা যারা আইন নিয়ে চর্চা করি, তাদের মনে হয়েছে, এই তালিকা যথাযথ নিয়ম মেনে হয়নি। তাই আমরা আপত্তি জানাব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে একইভাবে এই পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়াদেবীর ওয়ার্ড তফসিলী প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তাই সেদিক থেকে পাপিয়াদেবীও নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তার জন্য অন্য কোনো ওয়ার্ড ভাবা হবে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু এভাবে তৃণমূলের কাউন্সিলররা যদি নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে না পারেন, তাহলে তো চরম অসুবিধার সম্মুখীন হবে তৃণমূল কংগ্রেস!

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, “কাউন্সিলরদের ডেকে বৈঠক করব। তাদের থেকে খসড়া তালিকা নিয়ে মতামত শুনব। যদি মনে হয়, আপত্তি জানানোর। তাহলে দলের তরফ থেকে নিশ্চয়ই আপত্তি জানানো হবে।” তবে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়, একইভাবে এই খসড়া তালিকার ফলে ধাক্কা খেয়েছে বামফ্রন্টও। জানা গেছে, তাদের 2 কাউন্সিলরের ওয়ার্ড তপশিলি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় তারা আর সেখানে দাঁড়াতে পারবেন না। এই ব্যাপারে তারা আপত্তি জানাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে বামেরা।

অন্যদিকে এই বিষয়ে জেলা বিজেপির সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, “লোকসভা ভোটের নিরিখে আমরা সব ওয়ার্ডে এগিয়ে। জলপাইগুড়ি পৌরসভার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরে এবার স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত পৌরবোর্ড গঠন হোক।” তবে যে রাজনৈতিক দল যে প্রতিক্রিয়াই দিক না কেন, পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ বাড়ছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!