প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারত চীন আন্তর্জাতিক সমস্যায় যেভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটার পর একটা বৈদেশিক চাল দিয়ে চীনকে কোণঠাসা করেছেন, তা রীতিমতো প্রশংসনীয় বলে ব্যাখ্যা করেছেন রাজনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। চীনের পর এবার আরো একটি বৈদেশিক পদক্ষেপ গ্রহণ করল মোদী সরকার বিদেশনীতির মাধ্যমে। এবার মালদ্বীপের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী হয়ে মালদ্বীপকে ঋণ এবং অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করল ভারত সরকার।

যথারীতি ভারতের এই পদক্ষেপ ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। ভারতের পক্ষ থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শাহিদের সাথে এই নিয়ে একটি আলোচনা চালান বৃহস্পতিবার। আর তারপরেই ভারতের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, মালদ্বীপকে তাঁরা 40 কোটি ডলারের ঋণ এবং 10 কোটি ডলার অনুদান দেবে। ভারতের সাহায্য নিয়ে 6.7 কিলোমিটার গ্রেটার কানেক্টিভিটি প্রকল্প যার মাধ্যমে মালদ্বীপ প্রতিবেশী তিনটি দ্বীপপুঞ্জ মালয়ে বৃহত্তম নাগরিক অবকাঠামো তৈরি করবে।

সূত্রের খবর, এই প্রকল্পটি ভিংলিগিলি, গুলহিকাহু ও থিলাফুসিকে একসাথে জুড়বে। অন্যদিকে GMCP র বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, মালদ্বীপে ক্ষমতায় থাকা এমডিপি দলের এটাই প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। আর নির্বাচনে জিতে এই প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহম্মদ সোলিহ বেশ কিছুদিন যাবৎ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিলেন ভারতের সাহায্য পেতে। অবশেষে ভারত ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

এবং এই সম্পর্কে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি একটি টুইট করে জানান, ভারত মালদ্বীপের গ্রেটার মেল কানেক্টিভিটি প্রজেক্টকে বাস্তবায়িত করার জন্য মালদ্বীপকে আর্থিক সাহায্য করবে। এই সাহায্যের ফলে মালদ্বীপ বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক এলাকাকে নিজেদের সাথে সংযুক্ত করতে পারবে। এবং এর ফলে মালদ্বীপের অর্থব্যবস্থা আরো উন্নতি হবে বলে জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। উপরন্তু এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এবার থেকে ভারত-মালদ্বীপ এর মধ্যে কার্গো বিমান পরিষেবা চালু হবে।

এর ফলে মনে করা হচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো গতিশীল হবে। শুধু তাই নয়, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক যেভাবে গতিশীলতা পাচ্ছে, তাতে দুই দেশের মানুষের মধ্যেও আন্তরিকতা বাড়বে বলে দাবী করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় মহল থেকে। অন্যদিকে মোদি সরকার যেভাবে একের পর এক বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তি করে চলেছেন, তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রশংসিত হচ্ছেন সব মহলেই। চীনকে চাপে ফেলে মালদ্বীপকে যেভাবে মোদি সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তা যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।