এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অধিবেশন শুরু হলেই বিধানসভায় বড়সড় সংঘাতে নামার আশঙ্কা দুই যুযুধান শিবিরের

অধিবেশন শুরু হলেই বিধানসভায় বড়সড় সংঘাতে নামার আশঙ্কা দুই যুযুধান শিবিরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন সম্ভব হয়নি, কিন্তু ৭৭ টি আসন নিয়ে প্রধান বিরোধী শক্তিতে পরিণত হয়েছে বিজেপি। নতুন বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই বড়োসড়ো সংঘাতের পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি, পিছিয়ে নিয়ে তৃণমূলও। তাই নতুন বিধানসভায় অধিবেশন শুরু হলেই সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়ছে দুই যুযুধান শিবিরের মধ্যে। একাধিক বিষয় নিয়ে রয়েছে তীব্র সঙ্ঘাতের সম্ভাবনা।

প্রসঙ্গত, বিধানসভায় ২৬ টি স্থায়ী কমিটি ও ১৫ টি হাউস কমিটি আছে। যার মধ্যে কয়েকটি কমিটির প্রধানের পদ হলো নির্বাচিত। বিরোধীদের প্রথমে ৯ টি কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিয়েছিল সরকারপক্ষ। এরপর বিরোধী দলনেতার দাবি মেনে নিয়ে আরো একটি কমিটি বিরোধীদের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এই কমিটি গুলির মধ্যে অন্যতম হলো পাবলিক একাউন্টস কমিটি।

তবে, গতকাল পর্যন্ত কমিটি গঠন নিয়ে খুব বেশিদূর এগোয়নি বিজেপি শিবির। গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজকের মধ্যে কমিটিতে বিধায়কদের নাম চূড়ান্ত করার কথা বলেছেন তিনি। আজকের মধ্যে যদি বিজেপি বিধায়কের নাম চূড়ান্ত করতে না পারে, তবে এই কমিটিগুলিতে শাসকদল নিজের বিধায়কদের বসিয়ে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এরপর বিষয়টি নিয়ে এগিয়েছে বিজেপি, নামের তালিকা স্থির করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘাত বাড়তে পারে মুকুল রায়কে নিয়ে। সম্প্রতি মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তাঁর পুরনোদল তৃণমূলে ফিরে গেছেন। কিন্তু বিজেপির বিধায়ক পদ এখনো ছেড়ে দেননি। এমনকি পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে তাঁকে বসানো হতে পারে, এমন একটা জল্পনাও শুরু হয়েছে। গতকাল, তাঁর বিধায়কপদ খারিজের আবেদন স্পিকারের কাছে জমা করতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তা তিনি করতে পারেনি।

তিনি জানিয়েছেন, গতকাল তিনি অভিযোগ জমা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময়ে স্পিকারের অফিসে জমা নেওয়ার মত কেউ ছিলেন না। এ কারণে আজ তিনি এই অভিযোগ জমা করবেন স্পিকারের অফিসে গিয়ে। সরাসরি জমা করতে না পারলে ইমেল মারফত স্পিকারের কাছে তিনি তা পাঠিয়ে দেবেন। আবার বিধান সচিবের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন তিনি।

তবে, এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা আছে বিধানসভার স্পিকারের। কিন্তু রাজনৈতিক স্তরে বিজেপির এই দাবি শোভা পায় না। কারণ তৃণমূল থেকে আসা সাংসদেরা পদ না ছেড়ে দিয়ে এখনো বিজেপিতে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ সে জুন একাধিক কমিটির জন্য নির্বাচন হতে চলেছে বিধানসভায়।

আগামী ২৩ সে জুন সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর এ বিষয় নিয়ে বড়োসড়ো সংঘাতের আশঙ্কা তৃণমূল ও বিজেপি শিবিরে। অন্যদিকে নন্দীগ্রামের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আজ শুক্রবার হাইকোর্টের এই মামলার শুনানি রয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!