এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ও তাঁর অপসারণের বিস্ফোরক দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ও তাঁর অপসারণের বিস্ফোরক দাবি মুখ্যমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত কোন নতুন বিষয় নয়। রাজ্যের সাংবিধানিক দায়িত্ব নেবার পর থেকেই একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। প্রসঙ্গত, ভোটের পর এক মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও, এখনও রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির থেকে। এই আবহে সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও একাধিক কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালকে নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ও তাঁর অপসারণের দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যপাল কি উদ্দেশ্যে দিল্লি গেছেন? কি কারনে বৈঠক করছেন? তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে জল্পনা ছড়িয়েছে, রাজ্যের ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে দিল্লির দরবারে অভিযোগ জানাতে পারেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। আবার অনেকে মনে করছেন যে, রাজ্যপালকে এবার বদলি করাও হতে পারে, তাঁর স্থলে আসতে পারেন নতুন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গেই রাজ্যপালকে বাচ্চা ছেলে বলে কটাক্ষ ও তাঁর অপসারণের দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রী জানলেন, এ বিষয়ে নতুন করে আর কি বলার আছে? একটা বাচ্চা ছেলে হলে বকে চুপ করানো যেত। তিনি জানান, এখানে স্পিচ ইজ সিলভার, এণ্ড সাইলেন্স ইজ গোল্ডেন। ‘তুমি অধম হলে, আমি উত্তম হইব না কেন’। তিনি জানালেন, রাজ্যপালকে যখন নিয়োগ করা হয়েছে, তখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়নি। তাই এবার তিনি চলে গেলে কি, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হবে? আসা-যাওয়ার গানটা তারা একাই গেয়ে থাকেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দু-তিনবার চিঠি লিখেছেন রাজ্যপালকে অপসারণ করে দেবার জন্য।

অন্যদিকে ভোট মিটে গেলেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে। তবে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এগুলো সমস্ত পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। নির্বাচনের পর কোন ঘটনা ঘটেনি। যখন রাজ্যতে নির্বাচন কমিশন ছিল, তখন হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু তার মধ্যে সমস্ত ঘটনা রাজনৈতিক ঘটনা নয়। কিছু ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘটনাও আছে। তিনি সবসময় তাঁর পুলিশ ও প্রশাসনকে বলে দিয়েছেন যে, যেখানেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটবে, সেখানেই কড়া ব্যবস্থা নিতে। চারদিকে যেন হিংসা ছড়ানো হচ্ছে, এমন একটা পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। যা বিজেপির গিমিক ভায়োলেন্স বলে অভিযোগ করলেন তিনি।

অন্যদিকে ভোট-পরবর্তী হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে বারবার অভিযোগ ওঠার পর রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নিতে রাজ্যে এসেছে একাধিক কমিশন। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তাদের বেশি করে উত্তর প্রদেশ, গুজরাট যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। যেখানে মৃতদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। যেখানে করোনা রোগীদের রেকর্ড রাখা হয় না। যেখানে অক্সিজেন না পেয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়। হাথরাসের ইতিহাস ঘেঁটে, বাংলায় এভাবে হেরে যাবার পরও এদের লজ্জা নেই। সমস্ত এজেন্সিকে দিয়ে এই কাজগুলো করানো হলো বিজেপির অভ্যাস। তিনি জানান, একটা ভিডিও পেয়েছেন তিনি, যেখানে কেউ কেউ বলেছে যে, তারা সন্ত্রাসবাদি কাজকর্ম বৃদ্ধি করবে। এ ব্যাপারে সিআইডি ও পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, দিল্লির পুলিশের থেকে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ অনেক ভালো কাজ করে থাকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!