প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২৬ সে মার্চ ঢাকার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেসময় বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত কবিতার কিছু অংশ উদ্ধৃত করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য যৌবন বয়সে কারাবরণ করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সত্যাগ্রহও তিনি করেছিলেন। এরপর এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন বিধানসভা পুরসভার কাউন্সিলর রাজেশ চিরিমার। তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় একাধিক প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। তবে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতীয় জন সংঘের তৎকালীন সভাপতি অটল বিহারি বাজপেয়ি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সমর্থনে একাধিক আন্দোলন করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে ভারত সরকার যাতে সমর্থন জানায়, তাঁর দাবি করেছিলেন তিনি। সেসময় প্রতীকী সত্যাগ্রহতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। অনেকে মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ সময়ে এই আন্দোলনে যোগদান করে থাকতে পারেন। এ বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছিলেন রাজেশ চিরিমার। তবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা পুরসভার কাউন্সিলর রাজেশ চিরিমার প্রশ্ন করেছিলেন যে, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শোনার পর তাঁর কৌতুহল হয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রীর কি অপরাধ ছিল? কে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, সেসময়কার পাকিস্তান সরকার, নাকি ভারত সরকার? কিন্তু তার উত্তর পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি প্রবীন কুমার এর জবাব দিয়েছেন। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কারাবাসের কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পরের তথ্য দপ্তরের কাছে থাকলেও, তার আগের কোনো সরকারি তথ্য দপ্তরের হাতে নেই।