মুকুলের দলত্যাগের পরেই বৈঠক বিজেপির, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা! বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 18, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায় যে তাদের কাছে ফ্যাক্টর, তা মুখে প্রকাশ না করলেও, নিজেদের কর্মপদ্ধতির মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। 2017 সালে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন মুকুল রায়। তারপর গেরুয়া শিবিরের হাওয়া যেমন তীব্র হয়েছে, ঠিক তেমনই তৃণমূল ছেড়ে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা যোগদান করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। এমনকি 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে তার কাঁধে দায়িত্ব দেওয়ার কারণে বাংলা থেকে 18 টি আসন লাভ করেছে গেরুয়া শিবির। তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে ঠিকমত দায়িত্ব না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন মুকুল রায়। যার ফলে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করে বিধায়ক হলেও, আবার নিজের পুরাতন ঘর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যান তিনি। আর একসময় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভেঙে দিয়েছিলেন মুকুলবাবু, ঠিক একই কাজ তিনি আবার তৃণমূলে গিয়ে বিজেপির সাথে করতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দলের ভাঙ্গন আটকাতে এবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য দপ্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। যেখানে দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ উপস্থিত থাকতে পারেন বলে খবর পাওয়া যায়। আর এই বৈঠক নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকে বলছেন, মুকুল রায় দলত্যাগ করার পর বিজেপির অনেক জনপ্রতিনিধিরা কি করবেন, তা নিয়ে দলের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। এমনকি মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়ে বিজেপির অনেক সাংসদ এবং বিধায়কদের ফোন করেছেন বলে খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ফলে খুব দ্রুত তারা দলত্যাগ করতে পারেন। তাই এখন থেকেই মুকুল রায়ের দলত্যাগের প্রভাবে যাতে অন্য কেউ দলত্যাগ না করেন, তার চেষ্টা করতেই এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে আবার বলছেন, রাজ্যজুড়ে যেভাবে হিংসা চলছে, তাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কিভাবে প্রচার চালানো হবে এবং মানুষের কাছে কিভাবে পৌঁছানো যাবে, সেই জন্যই বিজেপির এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। তবে যে কারণেই হোক, ক্ষমতায় না পৌঁছনোর পর যেভাবে দলে বেসুরোদের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে এবং মুকুল রায়ের দলত্যাগের পর দলে ভাঙনের আশঙ্কা করা হয়েছে, তা আটকানোর জন্যই যে ভারতীয় জনতা পার্টির এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। একাংশের দাবি, এবারের নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি বাংলা দখলের জন্য একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরা মাঝেমধ্যেই বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন। যার ফলে ধরে নেওয়া হয়েছিল, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কার্যত পাখির চোখ করে নিয়েছে বাংলাকে। কিন্তু ভোটের ফলাফলের দিন যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় গেরুয়া শিবির। তৃতীয়বারের জন্য 213 টি আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে 77 টি আসন পেয়েই থেমে যেতে হয় ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আর তারপর থেকেই বিজেপির রণনীতি থেকে শুরু করে প্রার্থী চয়ন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন দলের নেতারা। দলত্যাগ করেন মুকুল রায়ের মত হেভিওয়েট বিজেপি নেতা। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপির রাজ্য দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কি আলোচনা হল, সেটাই সকলের কাছে গুঞ্জনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার মতামত জানান -