এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > টলিউডের মাঠে শঙ্কু নামতেই শঙ্কিত তৃণমূল? সামাল দিতে আসরে নামলেন হেভিওয়েট মন্ত্রী

টলিউডের মাঠে শঙ্কু নামতেই শঙ্কিত তৃণমূল? সামাল দিতে আসরে নামলেন হেভিওয়েট মন্ত্রী


বিগত বাম আমলের শেষের দিকে রাজ্যে পরিবর্তন আনতে সমাজের বিশিষ্ট জনেদের পথে নামিয়ে আন্দোলনকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল তৎকালীন বিরোধী দল তথা আজকের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর ইতিহাসের সব সময় পুনরাবৃত্তি হয়। তাই তো বর্তমান শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে যখন বিরোধী দল হিসেবে রাজ্যে প্রবল আন্দোলন গড়ে তুলছে বিজেপি, ঠিক তখনই এবার লোকসভা নির্বাচনের পরে এবার টলিউড শিল্পীদেরও নিজেদের পক্ষে আনতে তৎপর হল গেরুয়া শিবির।

বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনে এবার রাজ্যে বিজেপির ভালো ফলাফল হওয়ার পরই শাসক দল তৃণমূল ছেড়ে একাধিক জনপ্রতিনিধিরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন। বিজেপির দাবি ‘লাইনে আছেন’ আরও অনেকে। তবে শুধু নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদেরই নয়, সমাজে ছাপ ফেলতে এবং ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে যে বিশিষ্টজনেদের সমর্থনও দরকার, তা ভালই বুঝতে পেরেছে গেরুয়া শিবির।আর তাই তো প্রাক্তন তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা বিজেপিতে যোগদানকারী শঙ্কুদেব পণ্ডাকে দিয়ে টলিউডে ছাপ ফেলতে তৎপর বিজেপি।

প্রসঙ্গত, আরএসএসের চিত্রভারতীর পাশাপাশি এবার পৃথক একটি সংগঠন খুলেছেন বিজেপির শঙ্কুদেব পণ্ডা। আর এতেই এবার তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। কেননা গত ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরই এই টলিউডের প্রায় সমস্ত কলাকুশলীরা তৃণমূলের দিকে চলে যায়। তৃণমূলের বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং তাঁর ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের ক্রমশ প্রভাব বাড়তে থাকে এই টলিউড জগতে বলে দাবি টলিপাড়ার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার জেরে তাপস পাল, শতাব্দী রায়, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, মুনমুন সেন, সন্ধ্যা রায়, দেব, মিমি, নুসরতের মত হেভিওয়েট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হতেও দেখা গেছে। কিন্তু এবার বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার হাত ধরে সেইখানেই বিজেপি খাবা বসালে রীতিমত চিন্তার ভাঁজ পরেছে তৃণমূলের কপালে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। সূত্রের খবর, যাতে তাঁদের হাতেই সমস্ত ক্ষমতা থাকে, তার জন্য শঙ্কুদেব পণ্ডা সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর সংগঠন বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের আনুষ্ঠানিক সূচনা করতেই, ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিসিয়ান এন্ড ওয়ার্কস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার একটি জরুরী সভা ডাকেন অরূপ বিশ্বাস এবং তাঁর ভাই স্বরূপ বিশ্বাস।

আর সেখানেই বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাকে কটাক্ষ করে স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, “যতদূর জানি উনি একটা সিনেমা তৈরি করার সময় অনিয়ম করেছিলেন। ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে সহযোগিতার অনুরোধ করেছিলেন। তখন সাহায্য করা হয়েছিল। হঠাৎ উনি কেন মেরুকরণের প্রসঙ্গ তুলছেন! এটা একটা ক্রিয়েটিভ কাজ। একটা অরাজনৈতিক সংগঠন। এখানে রাজনীতির রং চড়ানো উচিত নয়।” তবে এই ব্যাপারে টলিউডের শিল্পী ও কলাকুশলীরা ঠিক কোনদিকে থাকবেন, তা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য শোনা গেছে বিশিষ্ট অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের গলায়।

এদিন তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে দলবদল একটা নিয়ম। অন্য রাজনৈতিক দল সংগঠন করতেই পারেন। যাঁরা যুক্ত হবেন, তাঁরা ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নেবেন।” এদিকে এতদিন আরএসএসের পক্ষ থেকে চিত্রভারতী টলিউডে সংগঠন দেখতো, এর পাশাপাশি শঙ্কুদেবের সংগঠনও মাঠে নামাতে গেরুয়া শিবিরের জোর যে আরও বাড়ল বলাই বাহুল্য। আর তাই তো টলিউডে তৃণমূলের আধিপত্য বজায় রাখতে হলো স্বয়ং হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। আগামী দিনে অরূপ-শঙ্কুর এই লড়াইয়ে জয়ী হন কে সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!