এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শিক্ষকদের জন্য তৈরী হচ্ছে কঠোর আচরণবিধি, জানেন না মুখ্যমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষকদের জন্য তৈরী হচ্ছে কঠোর আচরণবিধি, জানেন না মুখ্যমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রী


কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রস্তাবিত আচরণবিধিতে সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিতর্কে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এইদিন জানান, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই আচরণবিধি নির্ণয় করা হবে। একটি খসড়া তৈরির স্বীকারোক্তি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ”আমি আপত্তি করেছিলাম। বলেছি, আচরণবিধি যেন গ্রহণযোগ্য হয়। গায়ের জোরে বিধি জারি করা যাবে না।” এই নিয়ে মিথ্যা খবর প্রকাশের কথা জানিয়ে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” একটা খবর বেরিয়েছে। পার্থদাকে জিজ্ঞেস করলাম। এটা কি ঠিক?

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

পার্থদা জানাল, এটা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি। আমরা জানিই না।” আচরণবিধি চালু করার ব্যাপারটা শিক্ষামন্ত্রী পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়ে বলেন, ”দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, বিধির প্রয়োগ কী ভাবে হবে, তা ঠিক করা হবে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই।” তাঁর কথায় শিক্ষকদের জন্য বিধি থাকাটাই স্বাভাবিক, তাদের উপস্থিতির নিয়ম থাকাটাই স্বাভাবিক। বিরোধীদের মতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের আচরণবিধি নিয়ে বিতর্ক চাইছেন না বলেই শিক্ষামন্ত্রী এমনটা বলেছেন।বিরোধীরা আরো দাবি করে বলেন যে, ২৮ পাতার এই খসড়া আচরণবিধির মাধ্যমে শিক্ষকদের চূড়ান্ত অপমানের সামনে দাঁড় করানো হয়। গত বছর ১ এপ্রিল যে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন চালু হয়, তা বলবতের বিধি তৈরির উদ্দেশ্যেই ২০১৭-র এপ্রিলে কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দুটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু পরে উচ্চশিক্ষা দফতর সেই কমিটি দুটি বাতিল করে সাত সদস্যের একটি কমিটির হাতে সেই দায়িত্ব দিয়ে দেয়। নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুভঙ্কর সরকারের নেতৃত্বে সেই কমিটি চলতি মাসের গোড়ার দিকে সিলমোহর সহ বিধি উচ্চশিক্ষা দফতরে জমা দেবে বলে জানা যায়। এই বিধি নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি আসলেও, তা আর কার্যকরী হয়নি। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিজ অ্যান্ড কলেজেস (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড রেগুলেশন) রুলস, ২০১৭’ এর খসড়া বিধিতে আগের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এক বছরের প্রশিক্ষণ পর্বকে কলেজের জন্য দুই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিন করার কথা বলা হয়, এবং জানা গেছে শাসকের হাতে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়ে এই প্রশিক্ষণ পর্বেই শিক্ষকদের পুলিশি রেকর্ড খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করা হবে, যা এতদিন ছিল না। শিক্ষক সংগঠন আবুটা-র সভাপতি তরুণকান্তি নস্কর বলেন যে, ”এই খসড়া আসলে শিক্ষা ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারির সমতুল্য। এর বিরুদ্ধে গোটা শিক্ষকসমাজকে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানাচ্ছি।” এইদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ওখানকার শিক্ষক সমিতি(জুটা) এই খসড়া বিধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানান। উচ্চঅশিক্ষা দফতরের উপসচিব হরিসাধন দাসের কোথায় জানা গেছে, রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে সাত সদস্যের একটা কমিটি গঠন করেছে। যেহেতু এই কমিটি সরকারকে এখনো কোনো রিপোর্ট জমা দেয়নি, তাই সরকারের তরফ থেকে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!