প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই তাকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর তার মাঝেই হঠাৎ করে সম্প্রতি মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি আরও সেই জল্পনাকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। একাংশ দাবি করছেন, আর কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুভেন্দু অধিকারীর পর যদি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে তৃণমূলের যে অস্বস্তির শেষ থাকবে না, তা বলাই যায়।

আর এই পরিস্থিতিতে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যাওয়া আটকাতে এবং তার মানভঙ্গ করতে এবার উদ্যত হল তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন তৃণমূলের এক শীর্ষস্তরের নেতা। যেখানে দল না ছাড়ার জন্য সোমবার ফোন করে আবেদন জানানো হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি তিন মাস তার কাছ থেকে সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন সময় দলের শীর্ষস্থানীয় জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন এই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলে তিনি ঠিকমতো সম্মান পাচ্ছেন না। আর এরপর গত 22 ডিসেম্বর মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা যায় তাকে। আর তারপর থেকেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। এমনকি মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা মন্ত্যব্য অস্বস্তিতে ফেলে দেয় তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে তার কাছ থেকে তিন মাস সময় চেয়ে তিনি যাতে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না নেন, তার জন্য আবেদন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সংগঠনের শীর্ষ নেতা বলে খবর।

একাংশ বলছেন, অতীতে মুকুল রায় বা শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলে তৃনমূলের পক্ষ থেকে তাদের পাল্টা কটাক্ষ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দূর্নীতির করালগ্রাস থেকে বাঁচবার জন্য এই সমস্ত নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু সেভাবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তেমন কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তাই তিনি যদি বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে তৃণমূলে ফাটল ধরতে পারে এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে সেই ভাবে কোনো অভিযোগ করার সুযোগ থাকবে না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

আর এই পরিস্থিতিতে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঙ্গ করবার জন্য তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতার এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দলের শীর্ষস্থানীয় নেতার ফোনের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে সময় দেন, নাকি চাপে ফেলে দিয়ে বড় কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।