এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্তর্কলহ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে, তীব্র অস্বস্তিতে কংগ্রস হাইকম্যান্ড

পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্তর্কলহ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে, তীব্র অস্বস্তিতে কংগ্রস হাইকম্যান্ড


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনের বছরেই পাঞ্জাবের ভোট হতে চলেছে। কিন্তু তার আগেই পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্তর্কলহ তুঙ্গে। কার্যত পাঞ্জাবের  মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং এর সঙ্গে আরেক কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধুর মধ্যে তীব্র কলহ দানা বেঁধেছে। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের আগে দলের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কংগ্রেস হাইকমান্ডের। তড়িঘড়ি অবস্থা সামলাতে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আসরে নামেন। নেতারা বৈঠক করেন সিধুর সঙ্গে। আর এরপরে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের সিধুকে বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আর সেখানেই আবার বাদ সেধেছে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং।

কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার যেতে চলেছে নবজ্যোত সিংহ সিধুও কাঁধে, তাকে হয়তো সরাসরি পাঞ্জাব কংগ্রেস ইউনিটের সভাপতি করা হতে পারে বলে জল্পনা চলছে। কিন্তু জল্পনার মাঝেই প্রবল আপত্তি জানালেন ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং। তিনি সরাসরি সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছেন, সিধুকে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট তিনি কোনোভাবেই মানবেন না। এমনকি সিধুর নেতৃত্বে তিনি ভোটে লড়বেন না বলে সোনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছেন তিনি। তবে পাঞ্জাবের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবার আর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নন। পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান হরিশ রাওয়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে প্রচার কমিটির প্রধান রাখা হয়েছে তাঁকে। একইসঙ্গে কংগ্রেস হাই কমান্ডের পক্ষ থেকে বিজেন্দর সিঙ্ঘালা এবং সঙ্কোশ চৌধুরীকে ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি  পিএস বাজওয়াকে ইস্তেহার কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এর আগেও সিধুর সঙ্গে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংয়ের বিবাদ দেখা গিয়েছিল। সে সময় মল্লিকার্জুন খাড়গে মধ্যস্থতা করে এই বিবাদে ইতি টানেন। কিন্তু তাতেও যে বিশেষ কিছুই উপকার হয়নি, তা ভোট সামনে আসতেই বোঝা গেল।

আপাতত বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড পড়েছে দোটানায়। শ্যাম রাখি না কুল রাখি এই বিচার করতে গিয়ে তাঁরা কাউকেই ছাড়তে চাইছেননা। অন্যদিকে নভজ্যোত সিং সিধু কিছুদিন আগে বিজেপি থেকে এসেছেন কংগ্রেসে। এই অবস্থায় তাঁকে আর হাতছাড়া করতে চাইছে না যেমন কংগ্রেস, ঠিক সেরকমই দলের দীর্ঘদিনের নেতা ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংকেও ছাড়তে চাইছে না হাইকম্যান্ড। এখন এই বিবাদ ক্রমাগত জটিলতার দিকে এগোচ্ছে। এবার এই জটিলতা কাটাতে কংগ্রেস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সেদিকে থাকছে নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!