এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার কি বাংলার বিধানসভাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের প্রস্তাব! বামেদের দাবি ঘিরে জল্পনা

এবার কি বাংলার বিধানসভাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের প্রস্তাব! বামেদের দাবি ঘিরে জল্পনা


 

সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। যার পরেই সেই বিলে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্রপতি কোনো বিলে স্বাক্ষর করে দিলেই তা আইনে পরিণত হয়ে যায়। সেদিক থেকে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সারা দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেই তার বিরোধিতায় সরব হয় দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে এই আইন বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। শুধু তাই নয়, সংসদে এই আইন পাস হলেও, গত 31 ডিসেম্বর কেরল বিধানসভায় সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এই আইন বাতিলের প্রস্তাব পেশ করেন। আর কেরলের পর এবার বাংলার বিধানসভাতে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের প্রস্তাব পাশ করানোর দাবি তুলল বাম শিবির।

সূত্রের খবর, এদিন এই ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেন, কেরল গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষ থেকে সেই রাজ্যে সিএএ প্রয়োগ করা হবে না বলে আগেই জানানো হয়েছিল। গত 31 ডিসেম্বর সেখানকার বিধানসভায় এই আইনটি বাতিলের জন্য সর্বসম্মত প্রস্তাব পেশ হয়েছে। 17 টি দলের পক্ষ থেকে কেরলের জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও এই ধরনের প্রস্তাব পেশ করার দাবি করছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে সরব হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও তার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর সেদিক থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই বিজেপি বিরোধিতায় তাকেই বিজেপি বিরোধী নেত্রী হিসেবে ধরে নিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর এই প্রচারকে মাত দিতে বাংলার বিধানসভায় এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের প্রস্তাবে দাবি জানিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলে দিলেন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। কেননা সংসদে পাস হওয়া কোনো আইনের বিরোধিতা করে বিধানসভায় তা বাতিলের প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারে না রাজ্য সরকার।

ফলে সেদিক থেকে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলার বিধানসভায় এই আইন বাতিল করতে যান, তাহলে তার সাংবিধানিক পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে। অন্যদিকে যদি তারা এই আইন বাতিল না করেন, তাহলে বামেরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি বিরোধীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেবে। ফলে বিমান বসুর এহেন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এখন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কি অভিমুখ থাকে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!